ঘাটাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে শারীরিক নির্যাতনে সোহেল মিয়া নামের এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
পূর্ণতা মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পরামর্শ কেন্দ্রে চিকিৎসার নামে তার ওপর নির্যাতন করা হয়।
পরে কৌশলে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে শনিবার সকালে তাকে মৃত অবস্থায় পান বাড়ির লোকজন।
তিনি বীর ঘাটাইল এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে।
সোহেলের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল রাতে থানায় সাতজনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কাজী ফজলে রাব্বী, কামরুজ্জামান শোয়েব ও খন্দকার আতিকুর রহমান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জাহিদ হাসান মান্নান, সাইফুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন সোহাগ ও মো. ফিরোজ।
নিহতের পারিবার জানায়, সোহেল মিয়া (২২) মাদকাসক্ত ছিলেন।
তাকে সুস্থ করার জন্য গত ৫ মার্চ ঘাটাইল পৌর এলাকার পূর্ণতা মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পরামর্শ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
৬ মাসের চিকিৎসায় সোহেল মাদক ছেড়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন বলে পরিবারকে আশ্বাস দেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।
উভয় পক্ষের সম্মতিতে ২৪ হাজার টাকা চিকিৎসা ফি নির্ধারণ করা হয়।
নিহতের বড় ভাই রুবেল মিয়া বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফোন করে চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে সোহেলকে নিয়ে যেতে বলা হয়।
পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গত শনিবার সকাল ৮টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তার অভিযোগ, নির্যাতনের কারণেই সোহেলকে কৌশলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে শুক্রবার রাতেই ঘুমের মধ্যে মারা যায় সোহেল।
তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সারা শরীরে সিগারেটের আগুন দিয়ে পোড়া দাগ রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পূর্ণতা মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পরামর্শ কেন্দ্রের মালিকানায় যারা রয়েছেন, তাদের অনেকেই মাদকাসক্ত।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কামরুজ্জামান শোয়েব জানান, সোহেলকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। যার কপি তাদের কাছে রয়েছে।
থানার পরিদর্শক আব্দুল হক জানান, লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার পর ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা – অলক কুমার