টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে হতদরিদ্রদের অর্ধশত বস্তা চাল গোপনে কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আওলাদ হোসেন উয়ার্শী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। উপজেলা প্রশাসন লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
মির্জাপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি ধরে হতদরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণের জন্য ১৪টি উপজেলায় ২৮ জনকে খুচরা ডিলার হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। অভিযুক্ত আওলাদ হোসেন উয়ার্শী ইউনিয়নের একজন খুচরা ডিলার। নভেম্বর মাসে উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ১৬ হাজার ১৭০ কেজি চাল উত্তোলন করেন। গত কয়েক দিন পূর্বে কার্ডধারীদের মধ্যে চাল বিতরন না করে রাতের আধারে অর্ধশত বস্তা চাল গোপনে কালোবাজরে বিক্রি করেন ঐ ডিলার।
বিষয়টি বাজারের নৈশ প্রহরী দেখতে পেয়ে বাজার কমিটিকে জানায়। এ বিষয় জানাজানি হলে কার্ডধারীরা চালের জন্য দোকানে ভিড় করতে থাকে। এ সময় তারা চাল না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
এলাকার বেশ কয়েকজন কার্ডধারী জানান, যারা গরিব মানুষের সাথে দূর্নীতি করে আমরা তাদের বিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী জনৈক নৈশ প্রহরী জানান, এরা রাতের অন্ধকারে এই চাল বিক্রি করে দিয়েছে। আর আমাদেরও হুমকি দিয়েছে যেন এই কথা কাউকে না বলি।
নগর ভাদগ্রাম বাজার কার্ডধারী কমিটি ও এলাকাবাসী এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত আওলাদ হোসেনের দাবী তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এ ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন বলেও দাবী করেন তিনি।
এ বিষয়ে মির্জাপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক বলেন, একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি)কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্তের পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।