মির্জাপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একাব্বর হোসেন সেতুর ওপর পলিথিনের ছাউনি দিয়ে আশ্রয় নেয়া বন্যার্ত সত্তুর পরিবারে নগদ ৫শ টাকা করে ৩৫ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ লিটন।
বুধবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও হংকং শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ লিটনের পক্ষে অনুদানের অর্থ প্রদান করেন মির্জাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম মিয়া। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন, মির্জাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদ এরশাদ মিয়া প্রমুখ।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের পোস্টকামুরী পূর্বপাড়া (সওদাগরপাড়া) বংশাই নদের পাশে দুই শতাধিক দরিদ্র মানুষের বাস। যাদের অধিকাংশেরই পেশা ছাতা ও গ্যাসলাইটার মেরামত। আর ফেরি করে কাচের জিনিস বিক্রি করা। অনেকে অন্যের বাড়িতে কাজও করেন। তাঁরা মূলত বেদে পরিবারের বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলে তাদের ঘর বাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। গত পনের দিন ধরে প্রায় ৭০টি পরিবার একাব্বর হোসেন এমপি সেতুর ওপরে দুই পাশে পলিথিনে মোড়ানো ছোট ছোট পৃথক ছাউনি দিয়ে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে সেখানে আশ্রয় নেয়। এ খবর একাধিক প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও হংকং শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ লিটনের নজরে আসে। তিনি ওই সত্তুর পরিবারের নগদ ৫শ টাকা করে ৩৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন। বুধবার সকালে আবুল কালাম আজাদ লিটনের সেই অর্থ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে হস্তান্তর করা হয়।
মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন বলেন, আবুল কালাম আজাদ লিটন তাঁর অর্জিত ব্যক্তিগত অর্থ প্রতিনিয়ত গরীব ও অসহায় মানুষের কল্যাণে ব্যয় করে থাকেন। এর আগেও তিনি দুই হাজার পরিবারে ৫শ টাকা করে নগদ দশ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। এছাড়া করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় আড়াই হাজার পরিবারে তিনি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
মির্জাপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম মিয়া জানান, দরিদ্র মানুষকে সহায়তার পাশাপাশি আবুল কালাম আজাদ লিটন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তার ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসা, কবরাস্থান ও রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নও করে থাকেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বর্তমানে হংকংয়ে থাকা আবুল কালাম আজাদ লিটনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, কোন কিছু পাওয়ার আশায় না। মানুষের সেবাই বড় ধর্ম এই বিশ্বাস থেকে অর্জিত ব্যক্তিগত অর্থ থেকে সমাজ ও মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ব্যয় করে থাকি। এই সহয়তা অব্যহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।