নিজস্ব প্রতিবেদক : দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে দলটি।
দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক সাক্ষরিত ওই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়।
দলের কর্মকাণ্ডে নিস্ক্রিয় হওয়া সত্ত্বেও তিনি বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে যোগদান করে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলা শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে।
তাকে দল থেকে কেনো বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে নোটিশে বলা হয়েছে; এর আগে ১ জুন কারণ দর্শানোর ওই নোটিশটি দেয়া হয়।
আরো পড়ুন – মাভাবিপ্রবিতে আম পাড়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি
শনিবার (৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক।
কারণ দর্শানো নোটিশ প্রসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী বলেন, জোটের শরিক দলের প্রার্থী হিসেবে ইতোপূর্বে আমি সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করেছিলাম।
সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের সাথে আমার সুসম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছে; ওই নির্বাচনে বিএনপির ভোটার তো আমাকেই ভোট দিয়েছিল।
আরো পড়ুন – মাভাবিপ্রবিতে আম পাড়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি
সুসম্পর্ক রক্ষা করতে আমি বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপের দুই তিনটি ইফতার মাহফিলে আমি যোগদান করেছিলাম।
এ কারণে আমাকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয়া হবে এটি ভাবতেও পারিনি। অতি শীঘ্রই আমি কারণ দর্শানো ওই নোটিশের লিখিত জবাব দিব বলেও জানান তিনি।
নোটিশ প্রদান সম্পর্কে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক জানান, তিনি দলের কর্মকাণ্ডে সম্পূর্ণ নিস্ক্রিয় হওয়া সত্ত্বেও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে যোগদান করে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন; এ কারণে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও আগামী সাতদিনের মধ্যে ওই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন – মাভাবিপ্রবিতে আম পাড়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি
উল্লেখ্য –
গত ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী আওয়ামী লীগ থেকে জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর কালিহাতী আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন না পেয়ে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে পরাজিত হন তিনি। সম্পাদনা – অলক কুমার