নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে বন্যার পানিতে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে পানিবন্দী হয়েছে সেখানকার মানুষজন।
ফলে চরম দূভোর্গের পাশাপাশি সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির। তবে জেলা প্রশাসনের দাবী বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা মজুত আছে।
সরেজমিনে জেলার ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী কষ্টাপাড়া এলাকায় দেখা গেছে; সোমবার সকালে হুট করেই যমুনা নদীর পানি পাড় উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।
ঘরবাড়ি ও আশপাশে পানি প্রবেশ করায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে রয়েছে খামারীরা; দেখা দিচ্ছে গো-খাদ্যের অভাব।
এছাড়াও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও বাসাইল উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের প্রায় ১১৫টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এদিকে সোমবার (২০ জুন) বিকেলে যমুনার পানির স্রোতে ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী-ভালকুটিয়া সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ৬ গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে; এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতু অংশে বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রশাসনের বক্তব্য –
ভুঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বন্যা পরিদর্শন করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, জেলায় বন্যা কবলিত এলাকা বাড়ছে, সাথে বাড়ছে দূর্গতের সংখ্যা।
বন্যার্তদের জন্য শুকনা খাবারসহ ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে; এছাড়া বন্যাকে কেন্দ্র করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া ভাঙনরোধ ও বন্যা মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় যেন গবাদি পশু চুরি বা ডাকাতি না হয়, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার