অলক কুমার : টাঙ্গাইলে বাস-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ছয়জনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দিবে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক।
এছাড়াও আহত সবার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সকল ধরনের সহযোগিতার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওষুধ কিনে দেয়া হবে।
অপরদিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন – বিন্দুবাসিনী’র সীমানা প্রাচীর অপসারণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ সমাবেশ
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশের গোলচত্ত্বর এলাকা পরিদর্শনকালে এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
এছাড়াও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তিকৃত আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন কারো ওষুধ লাগলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা বাইরে থেকে কিনে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল হাসেমকে প্রধান করে বিআরটিএ, পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের প্রতিনিধিদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন – হাজতখানায় রশি এলো কোথা থেকে?
এর আগের ঘটনা –
দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপ্রান্তের গোলচত্ত্বর এলাকায় বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়া ফার্টিলাইজারের বিএডিসি (সার) যুগ্ম-পরিচালক পাবনা জেলার জহিরুল ইসলাম (৫০), বগুড়া জেলা সদরের জলসিড়িতলার হেলাল উদ্দিনের ছেলে রিফাত আল হাসান (৩৫), রিফাতের মা মালেকা ভানু রুবি (৬৫), নিহত রিফাতের ছেলে সাজিদ হাসান (৭), কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার কুতুম্বপুর গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে মাইক্রোবাস চালক দুলাল মিয়া (৪৮)।
এ ঘটনায় প্রায় অর্ধশত বাস যাত্রী আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
পুলিশ জানায়, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা একতা পরিবহনের একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিলো।
বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরবঙ্গমুখী লেনে চলে যায়।
এসময় টাঙ্গাইল দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বাসটির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে বাস ও মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমরে মুচরে যায়। ঘটনাস্থলেই ছয় জনের মৃত্যু হয়।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে পুলিশ জানিয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার