টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১১টি উপজেলায় সাধারন সদস্য পদে ৪ জন প্রার্থী শূন্য ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া শূন্যভোট পাওয়া প্রার্থীরাসহ ১৩জন সদস্য প্রার্থী তাদের জামানত হারাবেন নির্দিষ্ট ভোট না পাওয়ায়।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
তবে পূর্বেই চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক জয় লাভ করায় সে পদে ভোট হয়নি।
এছাড়া মধুপুরেও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় একজন সাধারণ সদস্য জয়লাভ করেন।
সদস্য পদে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ধনবাড়ী থেকে তোফাজ্জল হোসেন, গোপালপুরে এসএম রফিকুল ইসলাম, ভূঞাপুরে খায়রুল ইসলাম, ঘাটাইলে রোকনুজ্জামান ঠান্ডু, কালিহাতীতে আয়নাল হক, টাঙ্গাইল সদরে মাসুরুল ইসলাম, দেলদুয়ারে মোশারফ হোসেন, নাগরপুরে শহিদুল ইসলাম, বাসাইলে নাসির খান, সখীপুরে আনোয়ার হোসেন তালুকদার ও মির্জাপুরে তাহেরুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।
এছাড়াও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মাহমুদা বেগম (ধনবাড়ী, মধুপুর, গোপালপুর), রাজিয়া সিদ্দিকী (ঘাটাইল, কালিহাতী, ভূঞাপুর), শিমু খান (সদর, নাগরপুর, দেলদুয়ার) ও খালেদা সিদ্দিকী (মির্জাপুর, বাসাইল, সখীপুর)।
জেলা প্রশাসক ও টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ড. মো. আতাউল গনির স্বাক্ষরিত নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে; ৩নং ওয়ার্ড গোপালপুরে শহিদুল ইসলাম তালা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৫টি।
৪ নং ওয়ার্ড ভূঞাপুরে (হাতি) শেখ রফিকুল ইসলাম শূন্য ভোট এবং শাহাদত হোসেন বাবু (তালা) পেয়েছেন এক ভোট।
৫নং ওয়ার্ড ঘাটাইলে জহিরুল ইসলাম (অটোরিক্সা) কোন ভোট পাননি এবং আনিছুর রহমান তুহিন (উটপাখি) পেয়েছেন ৬ ভোট।
৬নং ওয়ার্ড কালিহাতীতে কামাল আহমেদ (হাতি) ৪ ভোট।
৮ নং ওয়ার্ড টাঙ্গাইল সদরে ফরিদুর রহমান (হাতি) শূন্য ভোট পেয়েছেন।
৯নং ওয়ার্ড দেলদুয়ারে প্রভাংশু রঞ্জন সোম (ঘুড়ি) পেয়েছেন ১টি ভোট এবং গোলাম কিবরিয়া (হাতি) ১০ ভোট।
১০ নং ওয়ার্ড মির্জাপুরে মানিক স্যানাল (হাতি) পেয়েছেন ৩টি ভোট।
১১ নং ওয়ার্ড বাসাইলে আতিকুর রহমান (তালা) পেয়েছেন শূন্য ভোট, রফিকুল ইসলাম (উটপাখি) ৭ ভোট এবং মিজানুর রহমান খান (হাতি) ১১টি ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনে ভোট না পাওয়া ও কম ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বক্তব্য :
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এইচএম কামরুল ইসলাম জানান , কাস্টিং ভোটের মধ্যে যারা সাড়ে ১২ ভাগ ভোটের কম পেলে তাদের জামানত বাতিল করা হবে।
তবে কয়েকটি উপজেলায় বেশ কয়েকজন সদস্য শূন্য ভোট পেয়েছেন। এছাড়া অনেকেই কম ভোট পেয়েছেন। সম্পাদনা – অলক কুমার