নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে শাহীন শিক্ষা পরিবারের আবাসিকে ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলৎকারের চেষ্টা করেছে এক শিক্ষক।
শনিবার রাতে পৌরসভার বিশ্বাস বেতকা এলাকার শাহীন স্কুলের আবাসিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষক ফারুক হোসেনকে নিয়ে রেজিস্ট্রি পাড়া শাখায় মীমাংসার জন্য বসা হয়।
মীমাংসায় দফা রফা না হওয়ায় আবারও বসার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে শাহীন শিক্ষা পরিবারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান সেলিম বলৎকারের কথা অস্বীকার করে বলেন আমাদের কোন আবাসিক নেই।
জানা যায়, বিশ্বাস বেতকা এলাকায় শাহীন স্কুলে আবাসিক ও অনাবাসিক মাধ্যম রয়েছে, সেখানে আবাসিকে ৫৩ জন শিক্ষার্থী আছে; তার মধ্যে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আছে ১০ জন।
বলৎকারের শিকার শিক্ষার্থী আবাসিকের ৪র্থ তলায় থাকতো। বলৎকারের সাথে জড়িত শিক্ষক ফারুক হোসেন শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে তার কাছে দ্বিতীয় তলায় নিয়ে এক খাটে ঘুমিয়ে পড়ে।
রাতে ঘুমানোর এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীকে জোর করে বলৎকারের চেষ্টা করে।
শুক্রবার ভোরে ওই শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষকের মোবাইলের মাধ্যমে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। জানানোর পর পরিবারে সদস্যরা এসে হট্টোগোল করে।
পরিবেশ শান্ত রাখতে বিশ্বাস বেতকা স্কুল শাখার অধ্যক্ষ নূরুল ইসলাম ও রেজিস্ট্রি পাড়া স্কুল শাখার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন আসলাম ওই পরিবারের লোকজনদের নিয়ে মীমাংসা করার জন্য রেজিস্ট্রিপাড়া স্কুল শাখার নিয়ে যায়।
সেখানে দফারফার এক পর্যায়ে বলৎকারের সাথে জড়িত শিক্ষককে মারধর করে।
বলৎকার শিকার শিক্ষার্থী বলেন, রাতে ফারুক স্যার আমাকে ৪র্থ তলা থেকে ডেকে ২য় তলায় নিয়ে তার রুমে ঘুমানোর জন্য বলে; আমি বার বার না করলেও জোর করে।
রাতে ঘুমিয়ে পড়লে তিনি আমার সাথে খারাপ কাজ করার চেষ্টা করে ও জোর করতে থাকে।
এক পর্যায়ে আমার ঘুম ভেঙে গেলে তার কাছ থেকে ছুটার চেষ্টা করি। তখন আমাকে জোর করে খারাপ কাজ চালিয়ে যায় এবং আমাকে ভয়ভীতি দেখায়।
বলৎকার শিকার শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, আমি চরাঞ্চলের মানুষ। কোন ঝামেলায় জড়াতে চাই না। তাই আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবোনা।
তাৎক্ষনিক সবাই মিলে বসে আপোষ করা হয়েছে। আমার ছেলেকে সেখানে থেকে নিয়ে এসেছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের বক্তব্য –
বলৎকারের সাথে জড়িত শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, ওই ছাত্র চার তলা থেকে আমার কাছে আসে। আমি না করার পরও ২য় তলায় আমার সাথে ঘুমায়। বলৎকারের অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা।
এবিষয় নিয়ে বসা হয়েছিল, পরিবর্তীতে শাহীন স্যার আসলে আবার বসা হবে। আমি আপনার সাথে পরে সাক্ষাতে কথা বলবো।
রেজিস্ট্রিপাড়া স্কুল শাখার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন আসলাম বলেন, আমি ব্যস্ত আছি একটু পরে ফোন দেন; পরবর্তীতে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান মো. মাসুদুল আমিন শাহীন এর সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সম্পাদনা – অলক কুমার