নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার বানিজ্যিক এলাকা করটিয়া আবেদা খানম গার্লস হাই স্কুলের অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
তবে দুপুর ১২ টার দিকে ২ জন ভোটার ভোট দিতে গেলে দায়িত্বরত নির্বাচন কর্মকর্তা বলে আপনার ভোট হয়ে গেছে।
ভোট দিতে না পেরে ওই ভোটারা প্রতিবাদ করতে থাকেন।
একপর্যায়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষক মো. জিন্নাহ মিয়া, সৈয়দ মাজেদুল আলম নাঈম ও আলমগীর সিকদার গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
নির্বাচনে ১ হাজার ৩০৪ জন জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করবেন। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে পুলিশ সদস্যদের বিদ্যালয়ে মোতায়েন রাখা হয়েছে।
নির্বাচনে অভিভাবক সদস্য পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সদস্য প্রার্থীরা হলেন- ১ নং ব্যালটে আশিষ কুমার সাহা, ২ নং ব্যালটে এমদাদুল হক এনামুল, ৩ নং ব্যালটে মো. ফেরদৌস ও ৪ নং ব্যালটে শফিকুল ইসলাম শফি।
বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকেয়া খাতুন।
ভোট দিতে না পারা খাকজানা গ্রামের মো. শামীম নামের এক ভোটার আক্ষেপ করে বলেন,আমি একজন রিক্সা চালক।
কাজ বাদ দিয়ে ভোট দিতে এসেও আমি আমার ভোটটি দিতে পারলাম না।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক সৈয়দ মাজেদুল আলম নাঈম বলেন, জাল ভোটের শিকার হয়েছেন ২ জন ভোটার। কে বা কারা তাদের ভোট দিয়ে গেছেন।
বিষয়টি নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তবে এখনও এর কোন সমাধান হয়নি।
জাল ভোটের বিষয়ে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকেয়া খাতুন জানান, ভোটারদের সনাক্ত করবে প্রার্থীদের এজেন্ট।
আমরা তো ভোটারদের চিনিনা। এরপর এমন ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য আরো সর্তকতা অবলম্বন করা হবে।
অন্যদিকে, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে বলে জনিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ দিলিপ কুমার পাল। সম্পাদনা – অলক কুমার