বিশেষ প্রতিবেদক : বন্যা পরবর্তী সময় পানিবাহিত রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর টাঙ্গাইল। টাঙ্গাইলে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী বশির আহমেদ।
টাঙ্গাইলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা সূত্র জানা যায়, জেলায় ১২টি উপজেলায় ১১৮টি ইউনিয়ন ও ১১টি পৌরসভা রয়েছে। এরমধ্যে ১১টি উপজেলার ৯৫টি ইউনিয়ন ও ৬টি পৌরসভা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। সেখানে এক লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৩৪টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী বশির আহমেদ জানান, বন্যায় ডুবে যাওয়া নলকুপগুলো উচুঁকরণ ও ব্লিচিং দিয়ে জীবানু মুক্ত করাই হচ্ছে আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ। কারণ এতে প্লাবিত এলাকার মানুষ বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারবে। ফলে পানিবাহিত অসুখ যেমন, কলেরা, ডায়রিয়া সংক্রমিত হবে না।
এসময় তিনি জানান, বন্যার সময়ও জেলায় প্রায় চার লক্ষ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১৩৯০টি ‘জেরিক্যান/কলাপসিবল কন্টেইনার’ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নলকূপ মেরামতের জন্য বিভিন্ন মাপের ৪১৯টি ১.৫”জি.আই নিপল, ৩৬৪টি ১.৫” জি.আই সকেট, ৫৪০টি লেদার সিট ভাল্ব, ৩৮৪টি ৬নং বাকেট, ৫৯০টি নাট-বোল্ট বিতরণ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের বন্যা আক্রান্ত ৭৮টি ইউনিয়নে ৯৪৩৫টি নলক‚প ও ৯৬২৭টি ক্ষতিগ্রস্ত ল্যাট্রিন মেরামত করা হয়েছে। এছাড়া পরিদর্শনকৃত ২৯৩২টি ক্ষতিগ্রস্ত নলকূপের মধ্যে ৪২৫টি নলকূপ উঁচুকরণ, ৯৩৫টি নলকূপ মেরামত করা হয়েছে। এছাড়া বন্যার বিভিন্ন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ৩২টি অস্থায়ী নলকূপ, ৩৯টি অস্থায়ী ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে। আর পর্যাপ্ত পরিমাণে অস্থায়ী নলকূপ ও অস্থায়ী ল্যাট্রিনের মালামাল মজুদ রয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার