ঘাটাইল সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জনতার হাতে আটক ৬ গরু চোরকে রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠিয়েছে ঘাটাইল থানা পুলিশ।
উপজেলার ঘাটাইল সদর ইউনিয়নের কাইতকাইদ গ্রাম থেকে গরু চুরি করে পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হয় ৬ গরু চোর।
আটককৃত চোরদেরকে স্থানীয় জনগণ গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।
আটককৃত গরু চোররা হলো, জামালপুর সদর উপজেলার চরসি কর্নিপাড়ার জয়নুদ্দিনের ছেলে জয়নাল হোসেন (৩৮); নওগাঁ জেলার আইনিগর উপজেলার টুনশিয়ালা গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে নয়ন (২৯); ফরিদ জেলার বোলমারি উপজেলার বারদি গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. সাগর (২২); রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাগলা মালিবাড়ি গ্রামের লাল চানের ছেলে রহিম ওরফে অনিক (১৭); গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ভেলারায় গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আমজাদ হোসেন (২৮) ও রংপুর জেলার পীরগাজা উপজেলার অনন্দনগর গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম (১৭)।
উদ্ধার হওয়া গরুর মালিক উপজেলার ঘাটাইল ইউনিয়নের কাইতকাই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে তারা বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখছিলেন। এ সময় একটি পিকআপে গরু উঠিয়ে গরু চুরি করে নিয়ে যায়।
গরু চুরির ঘটনাটি তার স্ত্রী আমিনা বেগম টের পেলে গ্রামের দুই যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন এবং বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়।
পরে স্থানীয়রা চোরদের ধাওয়া করলে সাপটারবাইদ এলাকায় গিয়ে রাস্তার পাশে গাড়িটি উল্টে গেলে তারা গরু ফেলে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় জনতা পিকআপের ভেতর থেকে গরু উদ্ধার করে গাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও জনতা একতাবদ্ধ হয়ে রাতেই উপজেলার পাহাড়িয়া এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ছয়জন গরুচোরসহ একটি গাভী উদ্ধার করা হয়।
ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল উসলাম সরকার বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা ৬ গরু চোরকে আটক করে, পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার ও গ্রেপ্তার করে।
বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের চুরির কাজে ব্যবহ্নত পিকআপটি পুড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় গরুর মালিক কাইতকাই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
এরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত। আসামীদের সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার