টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কিছু কিছু জায়গায় প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ হয়েছিলো। কিন্তু সেটি নিমিষেই উধাও হয়েছিলো। কারন মীর জাফরের অভাব ছিলো না। বঙ্গবন্ধু যে শোষিতের পক্ষ থেকে শোষন, নির্যাতন ও নিপিরনের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলো। সেই বঙ্গবন্ধুর যারা কাছাকাছি ছিলেন তারা সেখানে মীর জাফরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দেশি এবং বিদেশি যারা ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে কাজ করেছেন। দেশী এজেন্ট যদি না থাকে তাহলে বিদেশীরা কখনোই ষড়যন্ত্র করে সুবিধা পায় না। আমাদের ভিতরে মীর জাফরের দল ছিলো বলেই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড এতো তড়িৎ গতিতে হয়েছে।
তিনি শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সিকদার, সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা কাজী গোলাম আহাদ।
পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস অনলাইন ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিন ক্যাটগরিতে দুই বিভাগে বিজয়ী ১৮ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।