নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে টাঙ্গাইল ডিসি লেক থেকে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি বন্ধ হয়েছে।
এর আগে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবৈধভাবে টাঙ্গাইল ডিসি লেক থেকে শত শত ট্রাক মাটি অন্যত্র বিক্রি করেছে তুষার সরকার নামের এক ব্যক্তি।
সোমবার দুপুর থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জনসেবা চত্বরে মাটি ভরাটের নামে অন্যত্র বিক্রি করা হয়।
জানা যায়, ঈদের আগে থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) খায়রুল ইসলামের হস্তক্ষেপে তুষার সরকার অন্যত্র মাটি বিক্রি করছে।
আরো পড়ুন – জনসেবা চত্ত্বর ভরাটের জন্য ডিসি লেকের মাটি কেটে অবৈধভাবে বিক্রি
জনসেবা চত্বরের নামে লেক থেকে মাটি কাটা হলেও সোমবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এক ট্রাক মাটিও সেখানে ফেলা হয়নি।
ছোট ট্রাক মাটি দুই হাজার টাকা এবং বড় ড্রাম ট্রাক সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
বুধবার সকালে লেকে গিয়ে দেখা, অবৈধভাবে মাটি কাটা ভেকু দুটি রাস্তার উপরে রাখা হয়েছে। শুকনো লেকে কোন ট্রাক বা ভেকু দেখা যায়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসী কয়েকজন বলেন, যেভাবে ভেকু বসিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে এতে সড়ক ও দক্ষিণ পাশে গাছগুলো হুমকির মুখে পড়েছে।
উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা। নিউজের পর মধ্যরাত থেকে মাটি কাটা বন্ধ হয়েছে।
এছাড়া তারা আরো বলেন, আমরা এলাকার লোকজন যদি ২/১ ট্রাক মাটি কিনতে চাই, তারা ১০ টাকাও কম নেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সনাতন ধর্মাবলম্বী বাসিন্দা জানান, আমি দুই ড্রাম ট্রাক মাটি কিনতে চেয়েছিলাম; তুষার নামের এক লোক আমার কাছে সাত হাজার টাকা দাম চেয়েছে।
ব্যবসায়ী তুষারের কথা –
তবে মাটি বিক্রির সাথে তিনি জড়িত নন বলে জানান তুষার সরকার। এসময় তিনি বলেন, আমি মাটি বিক্রি করি না; আমি ইকুইপমেন্ট ভাড়া দেই। আমি ভেকু ভাড়া দেই।
কে ভেকু ভাড়া দিতো? প্রশ্নের উত্তরে তুষার সরকার বলেন, ডিসি অফিসের এনডিসি স্যার ভাড়া দিতেন।
কত টাকা ভাড়া দিতেন প্রশ্নের উত্তরে তুষার বলেন, তিন হাজার টাকা ঘণ্টা ভাড়া দিতেন বলেই মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এরপর কয়েকবার কল দিলে কল কেটে দেন, পরে আবার কল দিলে, তিনি (তুষার) রিসিভ করে বলেন, আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আপনি এনডিসি খায়রুল স্যারের কাছে ফোন দেন।
এনডিসি ও ডিসির বক্তব্য পাওয়া যায়নি –
পরে এনডিসি খায়রুল ইসলামের মুঠোফোনে (০১৮৩৪৫১৭৭৪৪) কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিন ফোন রিসিভ করেন নি।
ঠিক ১০ সেকেন্ডের মধ্যে তিনি কল ব্যাক করেন, তবে কলটি রিসিভ করে সালাম দিয়ে হ্যালো হ্যালো করলেও ৩৬ সেকেন্ডে অপর প্রান্ত থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
পরে আবার জেলা প্রশাসকের নম্বরে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি। সম্পাদনা – অলক কুমার