নিজস্ব প্রতিবেদক : ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা ইঞ্জিনিয়ার কামাল আহমেদ হতে চান টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
আগামি ৬ মে টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
সেই সম্মেলনের মাধ্যমে নেতা কর্মীদের সমর্থন নিয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হতে চান এই নেতা।
তিনি দীর্ঘ ৩০ বছরের রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবন অতিবাহিত করছেন। ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ; ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে জেলা পর্যায়ে এসেছেন বহু চরাই উৎরাই পার করে।
টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন তিনি।
শুক্রবার বিকেলে শহরের আইনজীবী সহকারী সমিতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ প্রার্থীতা ঘোষণা করেন।
কামাল আহমেদ বর্তমানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
কামাল আহমেদ বলেন –
মত বিনিময়কালে কামাল আহমেদ বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান।
সেই ১৯৯৩ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে যোগদান করি।
পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি।
১৯৯৯ সালে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদের (বাকাছাপ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।
২০০০ সালে সততার সাথে দিঘলকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।
২০০১ সালে ঘাটাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলাম। ২০০৬ সালে ঘাটাইল উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিলাম।
বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে কালিহাতী আসনে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হই।
ইঞ্জিনিয়ার কামাল আরও বলেন, ছোট বেলায় ছাত্রলীগ করলেও পরবর্তীতে যুবলীগের দায়িত্ব পালন করেছি।
সেই থেকে যুবলীগের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক হয়।
যুবলীগকে ভালবেসে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপির হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছি।
যুবলীগের শহর থেকে তৃণমুল পর্যায়ের সকল কাউন্সিলর ও ডেলিগেটেরদের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে।
আমি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে পারলে উপজেলা, শহর ও ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে।
আর এসব কমিটি প্রবীণ ও ত্যাগীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
অপর দিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি আসনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দিন-রাত জনগনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরবো।
তিনি বলেন, যদি আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে সকলকে সাথে নিয়ে বর্তমান যে যুবলীগের কমিটি রয়েছে তার চেয়ে গ্রহণযোগ্য গতিশীল কমিটি করে টাঙ্গাইল জেলাবাসীকে উপহার দেবো।
সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চেয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট চান তিনি।
অন্যান্য তথ্য –
ইঞ্জিনিয়ার মো. কামাল আহমেদ টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
তিনি কালিহাতীর পৌরসভা সালেঙ্কা এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে।
তিনি ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ২০০১ সালে ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন।
ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর বাজার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছে। কামাল আহমেদ বর্তমানে ঠিকাদারি ও একাধিক ব্যবসার সাথে জড়িত। সম্পাদনা – অলক কুমার