নিজস্ব প্রতিবেদক : নামমাত্র দামে জমি লিখে না দেয়ায় জমির মালিকের চুল দাঁড়ি কেটে নেয়াসহ ল্যাংটা করে এলাকায় ঘুরানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হাবিবুর রহমান স্বপন নামের এক জমি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
গত বুধবার পৌর শহরের কুমুদীনি কলেজ গেট এলাকায় হুমকির ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী জমির মালিক শামীম মিয়া শহরের সুনামধন্য শামীম পিঠা ঘরের মালিক।
জমি ব্যবসায়ীর হুমকিতে চরম শঙ্কায় রয়েছেন ভুক্তভোগী শামীম মিয়া। জমি রক্ষায় ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।
শামীম মিয়া জানান, ২০১৬ সালে পনের লাখ টাকা দিয়ে পাওয়ার হাউজ সংলগ্ন এলাকায় তিন শতাংশ জমি কিনেন শামীম মিয়া।
জমি কেনার পর সেখানে মাটি ফেলাসহ টিনের ঘর করে শামীম পিঠা ঘরের কারখানা হিসেবে ব্যবহার করছেন তিনি।
মাটি ফেলা ও ঘর দিতে আরও প্রায় দশ লাখ ব্যয় হয় তার। বসবাসের উপযোগী করে তুলতে শামীম মিয়া প্রায় ২৫ লাখ ব্যয় হয়েছে।
অভিযোগ :
শামীম মিয়ার অভিযোগ, বেশ কিছুদিন যাবৎ বেতকা এলাকার জমি ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান স্বপন জমি কিনে নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন।
জমি ব্যবসায়ী স্বপনকে সহযোগিতা করছেন কুমুদীনি কলেজ গেট এলাকার আলিফ মেডিসিন কর্নার নামের ওষুধের দোকান ব্যবসায়ী রাসেল।
ঘটনার দিন ওষুধ ব্যবসায়ী রাসেল আমাকে ফোনে ডেকে নেন তার দোকান আলিফ মেডিসিন কর্নারে।
সেখানে হাজির হন জমি ব্যবসায়ী স্বপনসহ আরও দুইজন।
রাসেল জমিটি ১২ লাখ টাকায় ছেড়ে দিতে বলেন। রাসেলকে বলি আমি ঝামেলা পছন্দ করিনা।
আমার খরচের ২৫ লাখ টাকা দিলে জমিটি আমি বিক্রি করবো। এ দামে হলে আমি দিতে পারি; এ কথা বলে আমি দোকান থেকে বের হয়ে আসি।
আমার সাথে সাথেই জমি ব্যবসায়ী স্বপন বাইরে আসেন এবং আমাকে বলেন আপনি কি বেশি বুঝেন।
১২ লাখ টাকায় জমি না দিলে আপনি এলাকায় থাকতে পারবেন না। আপনার চুল দাঁড়ি কেটে ল্যাংটা করে এলাকায় ঘুরাবো।
এরপর আমি সেখান থেকে চলে আসি। তারা উচ্ছৃঙ্খল লোক বলে আমি আইনগত কোন ব্যবস্থা নেইনি। তবে ওই জমি নিয়ে আদালতে আমি একটি বাটোয়ারা মামলা করেছি।
মধ্যস্থতাকারী রাসেলের বক্তব্য –
আলিফ মেডিসিন কর্নার ওষুধের দোকান ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, জমির ব্যাপারে আমি শামীম মিয়াকে দোকানে ডেকে আনি।
সেখানে জমির দরদাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল।
তবে দাম নিয়ে কোন নিস্পত্তি না হওয়ায় শামীম মিয়া দোকান থেকে বের হয়ে যায়। বাইরে শামীম আর স্বপন মিয়ার কিছু বাকবিতন্ডা হয়েছে।
হুমকিদাতা স্বপনের বক্তব্য –
এ বিষয়ে জমি ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান স্বপন বলেন, শামীম মিয়ার জমির সামনে আমার চার শতাংশ জমি আছে।
জমিগুলো এক দাগের হওয়ায় আর জমি নিয়ে আদালতে শামীম মিয়ার একটি বাটোয়ারা মামলা থাকায় আমরা কেউই জমি খারিজ করতে পারছিনা।
এ কারণে আমি শামীম মিয়ার জমি নিয়ে চলমান বিরোধ মিটাতে চেয়েছি আর জমির দাম বাবদ ১২ লাখ টাকা নিয়ে দিতে চেয়েছি।
বাকবিতন্ডা হওয়ার কথা স্বীকার করলেও চুল দাঁড়ি কেটে ল্যাংটা করে এলাকায় ঘুরানোর কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।