বিশেষ প্রতিবেদক : টাংগাইলে বিড়ির প্যাকেটে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করার মাধ্যমে সরকারের শত কোটি টাকা রাজস্ব হারানো বিষয়ে বেশ কিছু সংবাদ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয় বেশ কিছু গণমাধ্যমে। প্রতিবেদন প্রচারের পর অসৎ বিড়ি ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে দীর্ঘ দিনের পুরোনো সৎ ব্যবসায়ীরা একাত্বতা ঘোষণা করে দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। টনক নড়ে বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি ও স্থানীয় প্রশাসনের। জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, টাংগাইলে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে ১৮ টাকার বিড়ির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকায়। যেখানে প্রতিটি প্যাকেটে ৮ টাকা ২৫ পয়সার ব্যান্ডরোল লাগাতে হয়। আর এই অবৈধ সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে কিছু অসাধু বিড়ি ফ্যাক্টরি মালিক ও কর্মচারী। এমন সংবাদের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়, এসব কাজে অভিযোগ আছে অসাধু ভ্যাট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও। আর এতে করে প্রতি বছর প্রায় শত কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে টাংগাইল জেলার বিড়ি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে আসছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে বিপন্নের পথে এই শিল্প। সরকারের চোখে ধুলো দিয়ে বিড়ির প্যাকেটে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে ফাঁকি দিচ্ছে রাজস্ব।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফাক্টরী মালিকরা নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়ি বাজারজাত করলেও এসবের কিছুই দোকানদারেরা জানেন না। সরকার ১৮ টাকা মূল্য নির্ধারণ করলেও বিড়ি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকায়। আসল ও নকল ব্যান্ডারোলের পার্থক্য বোঝা গেলেও সরকার সঠিকভাবে অভিযান পরিচালনা করছে না বলেন, দীর্ঘদিন এই শিল্পে কাজ করা ব্যক্তিরা।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, নকল ব্যান্ডরোল ভারত থেকে আসে বগুড়ায়। সেখান থেকে চলে যায় সারাদেশের ফ্যাক্টরীগুলোতে, আর এসবের হোতা বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির সিন্ডিকেট। অন্যদিকে কোন বিড়ি ফাক্টরির মালিক না হয়েও অনেকেই রয়েছেন বড় পদে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সব অস্বীকার করেন সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ পাল।
সংগঠনের সভাপতি হক বিড়ির মালিক বললেন অসাধু ব্যবসায়ী ও রাজস্ব কর্মকর্তাদের কারণেই কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে জানান বিভাগীয় কর কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান। সূত্র – নাগরিক টিভি, সম্পাদনা – অলক কুমার