নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর তার প্রতিবাদে আমরা দাঁড়িয়েছিলাম।
আজকে আওয়ামী লীগের লোকেরা দেখেন না আমাদের। চিনতে পারেন না, গালাগালি করেন।
আমরা প্রতিবাদ না করলে জিয়াউর রহমান এতোদিন নরক অথবা বেহেস্তে পাঠিয়ে দিতো সব আওয়ামী লীগারদের।
আজ বেলা ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মাকড়াই দিবস উপলক্ষে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগারা বেঁচে আছেন, ৭৫ এ আমাদের প্রতিবাদের জোরে বেঁচে আছেন।
সীমান্তে ১০৪ জন শহীদের মধ্যে ৮০/৮৫ জনই গাড়ো, হাজং কোচ। বাঙালী হিন্দু-মুসলমানদের চাইতে দশগুণ বেশি।
তারা যখনই আমার কাছে এসেছে, ওরা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, আমরা তার বদলা নেব। ওরা এভাবে জাতির পিতাকে মান্য করেছে।
খালেদা জিয়া খবর না নিতো কোন কথা ছিলো না, এরশাদ খবর না নিতো কোন কথা ছিলো না; কিন্তু শেখ হাসিনা খবর না নিলে- আজ হোক আর কাল হোক কথা হবে।
এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বন্ধুরা- বঙ্গবন্ধু মরলে আপনারা আওয়ামী লীগ ছিলেন না, আপনারা তখন দালাল লীগ হইছিলেন। সেই সময় সবার আগে আওয়ামী লীগের লোকেরা পালাইছে।
এসময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, দেশের সব কিছুতে এখন নারী, প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধী দলের নেতা নারী, বেগম খালেদা জিয়াও নারী, বঙ্গবন্ধুর শরীরের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজানোর কথা বলা মতিয়া চৌধুরীও এখন আওয়ামী লীগের নারী নেতা।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সব নেতার বড় নেতা, বাংলাদেশের সব নেতার শক্তি বাঁধলে যে শক্তি তার সব শক্তি বঙ্গবন্ধুর একা।
বঙ্গবন্ধু ভারতে যদি ৭১ এ যেতো তাহলে ভারত বঙ্গবন্ধুকে দালাল বলতো।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বঙ্গবীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে বলে দিতে চাই আমার বোনকে, শেখ হাসিনা আপনি ভালো হয়ে যান; মানুষ এখন আপনাদেরকে চায়না, বিএনপিকেও চায়না মানুষ, তাই সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেন। তাহলে ভালো হবে।
আরো যারা বক্তব্য রাখেন –
এসময় ঘাটাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আতিক হাবিবের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, সদস্য শামীম আল মুনছুর আজাদ সিদ্দিকী প্রমুখ।