নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ১৮ সালের নির্বাচনে তবুও কিছু লোক ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিল, ভোট দিয়েছিল।
এবার সেই পরিমান লোকও ভোটকেন্দ্রে যায় নাই, ভোট দেয় নাই ও ভোট দিতে পারে নাই।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ উৎ’সাহ পায় নাই তাই ভোট দিতে যায় নাই।
সাধারন ভোটারদের ৫ শতাংশও ভোট দিতে যায়নি।
যারা অন্য দল করে, তারা ১ শতাংশও ভোট দিতে যায় নাই। আমার নিজের দলেরও ৫০ শতাংশ ভোট দিতে যায় নাই।
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে (মিট দ্যা প্রেস) কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন যেমনি কোনরকম গুনগতমান সম্পন্ন ছিল না, ২০২৪ সালের নির্বাচন তার চাইতেও বেশি খারাপ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই আশাবাদী ছিলাম। আমি বিশ্বাস করেছিলাম একটি সুষ্ঠুু ,অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয়, “১৮ সালের নির্বাচনের চাইতেও ২৪ সালের নির্বাচন খারাপ হয়েছে”।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচনে হেরেছি। প্রকৃতই যদি হেরে থাকি, তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানও হেরেছেন।
বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে বঙ্গবন্ধুর অনুসারী কাদের সিদ্দিকীর আগে একজনও নেই। পরে আছে কিনা বলতে পারবো না।
এই পরাজয় যদি সঠিকভাবে হয়ে থাকে তাহলে এটা মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের পরাজয়।
মানুষ মুক্তিযুদ্ধ চায় না অথবা মুক্তিযোদ্ধাকে চায় না। যদি ধরে নেয়া হয় নির্বাচনে আমরা সত্যিকারভাবে হেরেছি, তাহলে মানুষ এসব কিছু থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছে।
আর যদি এটাকে ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়, কারচুপি বলা হয়, ডাকাতি বলা হয়; তাহলে সেটা অন্য জিনিস।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, সরকার ভোটের আগেও স্বস্তিতে ছিলনা। আগামী দিনগুলোতেও খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে পারবে না।
এসময় টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সালেক হোসেন হিটলু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফরিদ আহমেদ ও জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান সাদেকসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পরে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনেও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ অংশ নিবে জানান দলের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম।