টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কলেজ ছাত্রীকে দেহ ব্যবসায়ী বানালেন ইউপি চেয়ারম্যান সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদের ঘটনায় নিজের অজ্ঞতার দায় স্বীকার করে নেন ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতি। বুধবার সকালে নাগরপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে এই দায় স্বীকার করে নেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেয়ারম্যান মতিউর রহমান। তিনি বলেন, আমি পর পর তিনবার ইউপি সদস্য ও বর্তমানে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কলেজ ছাত্রী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা আমি জানতাম না। এমনকি আদালতে ধর্ষণ মামলা আছে তাও জানতাম না। জানলেও ঐ নোটিশ আমি পাঠাতাম না।
তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা এই যে, ধুবড়িয়া গ্রামের সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রঙ্গু, শফিকুর রহমান শাকিল ও ধুবড়িয়া ছেফাতুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শাহাবুল আলম দুলাল এবং এলাকার কিছু ব্যক্তি দফায় দফায় সভা করে। তারা আমাকে বলেন, ঐ কলেজ ছাত্রী ও তার বাবা মা জনৈক আইনজীবি শাহিনের বাড়িতে থেকে অনৈতিক কার্যকলাপ করে আসছে। এজন্য তাদেরকে ঐ বাড়িতে রাখা যাবে না। তারা তাদের সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করার জন্য আমার উপর চাপ দিতে থাকেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, তাদের চাপের কারণেই আমি ঐ নোটিশ প্রদান করি। একই সঙ্গে ধর্ষিত কলেজ ছাত্রী যেন ন্যায় বিচার পায় তার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ধুবড়িয়া ইউপি সদস্য মো. স্বপন মিয়া, মো. আব্দুল কাদের, কাজী আবুল কালাম আজাদ, মো. তৌহিদুর রহমান আরজ, মো.ইয়াকুব হোসেন প্রমূখ।