টাঙ্গাইল শহরের বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে’র বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আর অভিযোগটি করেছেন কলেজের প্রভাষক দেওয়ান শামস উদ্দিন। অভিযোগে তিনি বলেন, কলেজ অধ্যক্ষকে তিন লাখ টাকা দিয়েও নাম এমপিওভুক্তি করাতে পারেননি। নন এমপিও শিক্ষক হওয়ায় ওই প্রভাষক জীবিকার প্রয়োজনে চাকুরী ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমানে আইনজীবী হিসেবে টাঙ্গাইলের অ্যাডভোকেট বার সমিতির মাধ্যমে আদালতে প্র্যাকটিস করছেন।
জানাগেছে, বিগত ২০১২ সালে টাঙ্গাইল শহরের বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান দেওয়ান শামস উদ্দিন সুমন। কলেজে যোগদানের পর এমপিওভুক্তি না থাকায় নীতিমালা ও বিধি উপেক্ষা করে তাকে যৎসামান্য হারে বেতন দেয়া হয়। এতে দেওয়ান শামস উদ্দিন সুমনের বেকারত্বের অবসান না হওয়ায় শিক্ষকতার পাশাপাশি আইনপেশায় যোগ দেন। সেই থেকে তিনি প্রভাষক ও আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। এরই মধ্যে দেওয়ান শামস উদ্দিন সুমন প্রভাষক হিসেবে এমপিওভুক্তি হতে কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে-কে তিন লাখ টাকা প্রদান করেন। চেকের মাধ্যমে অধ্যক্ষ ওই টাকা গ্রহন করলেও দেওয়ান শামস উদ্দিন সুমনকে অদ্যাবদি এমপিওভুক্তি করণে উদ্যোগী হননি।
দেওয়ান শামস উদ্দিন সুমন জানান, কলেজের চাকুরি থেকে তিনি অনেক আগেই ইস্তফা দিতেন। কিন্তু এমপিওভুক্তির জন্য অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে-কে তিন লাখ টাকা দেয়ায় তিনি এখনো কলেজে প্রভাষক হিসেবে রয়েছেন। তিনি জানান, বেশ কয়েক দফায় টাকা ফেরত চেয়েও তিনি পাননি। উপরন্তু অধ্যক্ষের রূঢ় আচরণে তিনি বিক্ষুব্ধ।
তিনি আরো জানান, অধ্যক্ষ স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। ইতোপূর্বে কলেজের এক কর্মচারীকে মেরে হাত- পা ভেঙ্গে দিয়েছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে কর্মচারীর স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে বলেন, প্রভাষকের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা আমার নামে এনেছি কি-না তা আপনার দেখতে পারেন। তিনি জানান, ইতোপূর্বে তার নামে বারটা মামলা হয়েছে। আমাকে কেহ কাবু করতে পারেনি। প্রভাষক তো আমার কাছে বাচ্চা শিশু।