নাগরপুর-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের ১০টি বেইলি সেতুই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। আর এতে সেতুগুলোর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। আর ছোটখাটো দূর্ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটছে।
জানা গেছে, ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নাগরপুর-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কটির ১২ কিলোমিটার পড়েছে নাগরপুর উপজেলা অংশে। বাকি ১৬ কিলোমিটার পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ জেলায়। নাগরপুর অংশের বেইলি ব্রিজ গুলো হলো- খোরশেদ মার্কেট, ধলামাড়া, থানা মোড়, বারাপুষা, ভালকুটিয়া, তিরছা, টেংরীপাড়া, আড়রাকুমোদ, ধুবুড়িয়া ও চাষাভাদ্রা।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতিদিন কয়েকশ’ সিএনজি নাগরপুর-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচল করে। এছাড়া নাগরপুরে ব্যাপক ইটভাটা নির্মাণ হওয়ায় ট্রলি-ট্রাক্টরসহ অনুমোদনহীন যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি বেইলি সেতুর কারণে এ সড়কটিতে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে লাখ লাখ মানুষ।
বেইলি সেতুগুলোর অবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রতিটি সেতুর সামনে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু সাবধানে পারাপার’ হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে অস্থায়ী সাইন বোর্ড টাঙ্গানো ছিলো কিন্তু সেগুলো অজ্ঞাত কারনে এখন আর চোখে পড়ছে না। ফলে ঝুঁকি আরও বেড়ে গেছে। এছাড়া প্রতিটি বেইলি সেতুর স্টিলের পাটাতন ক্ষয় হয়ে গেছে, কিছু কিছু সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে গেছে।
উত্তর তিরছা গ্রামের শওকত আলী জানান, এ বছর জানুয়ারিতে ট্রাক আটকে গিয়েছিল পাটাতনে। পরে সেতু মেরামত করা হয়। মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহন প্রায়ই পিছলে দুর্ঘটনার শিকার হয়। সেতুগুলোতে ভারি যানবাহন উঠলেই কেঁপে উঠে, মনে হয় এই বুঝি ভেঙ্গে পড়ল । এর আগেও বেশ কয়েকবার সেতু ভেঙ্গে বড় গাড়ী নিচে পড়ে গেছে। এ রকম দূর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। দশ বার দিন যান চলাচল বন্ধ থেকেছে। এসব সেতুর কারনে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই ।
পাঁচতারা গ্রামের সিএনজি চালক শাকিল বলেন, যখন বড় কোন পণ্যবাহী ট্রাক সেতুতে উঠে তখন আমরা অপেক্ষা করি । কারণ সেতু তখন দুলতে থাকে। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে আমরা প্রতিদিন গাড়ী চালাই। তিনি অতিসত্বর এই রোড়ে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিমুল এহসান বলেন, টাঙ্গাইল-আরিচা সড়কের বেইলি সেতুগুলোর জায়গায় স্থায়ী সেতু নির্মাণ এবং এ সড়কের উন্নয়নের জন্য একটি প্রস্তবনা পাঠানো হয়েছে। একনেকে এ প্রস্তাব পাস হলে এর উন্নয়ন কাজ শুরু করা হবে।