টাঙ্গাইলের সখিপুরের গৃহবধু আলেয়ার লাশ তিন দিন যাবৎ মর্গে রয়েছে। যৌতুকের বলি এই গৃহবধু আলেয়া বেগম (১৯)কে হত্যা করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানোর চেষ্টা করছে শ্বশুড় বাড়ির লোক। অভিযোগটি গৃহবধু আলেয়ার বাবা আলম মিয়ার।
নিহত গৃহবধু আলেয়া বেগমের পিতা আলম মিয়া জানান, সখিপুর উপজেলা বেড়বাড়ি খন্দকার পাড়া গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে জনি মিয়া (২২) সাথে ৫/৬ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিবাহ দেয়া হয়। বিয়ের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণলংকার যৌতুক হিসাবে দেয়া হয়। বিয়ের ৩ মাস পর থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য আলেয়া বেগমকে আরও ৫ লাখ টাকা নিয়ে আসতে বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করে।
গত বৃহপতিবার (১২ মার্চ) সকালে আলেয়া বেগমের স্বামী ও তার শ্বশুর, শাশুড়ী দেবরসহ অন্যান্যরা নির্যাতন করে আমার মেয়েকে হত্যা করে তারা আত্মহত্যা বলে প্রচার চালাচ্ছে। নিহতের পিতার দাবি, মেয়ের শ্বশুরবাড়ীর লোকজন ফোন করে বলেন যে, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর তিনি আলেয়ার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে বাড়ির উঠানে তার মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর লাশের কাছে গিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষত চিহ্ন দেখতে পান। পরে বিষয়টি সখিপুর থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।
মেয়ের বাবা আলম মিয়া আরো জানান, আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়ীর লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ মামলা না নিয়ে হত্যাকে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বানিয়ে অপমৃত্যু মামলা নিয়েছে।
টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সজিব জানান, প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন ও লাশের প্রকৃত অবস্থার সাথে মিল না থাকায় অর্থাৎ ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কোন প্রকার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আমার কাছে সন্দেহজক মনে হওয়ায় শুক্রবার পোস্টমর্টেম করিনি।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ওসি আমির হোসেন জানান, এব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।