ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্যা পর্যন্ত ১৪ ঘন্টা স্থায়ী ভয়াবহ এই যানজটে আটকে পড়া হাজারো যাত্রীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সাথে ক্রমাগত ভাবে বেড়ে চলছে করোনা ঝুঁকি।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বুধবার থেকে সারাদেশে সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণায় রাজধানী থেকে একযোগে সকলে বাড়ি ফেরা শুরু করলে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুন বেড়ে যায়। এছাড়া মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার কদিমধল্যা নামকস্থানে আন্ডারপাসের কাজ চলমান থাকায় ওই অংশে ওয়ানওয়েতে যানবাহন চলাচল করায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ১২ টায় ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া পিকআপভ্যানে যাত্রী মো. ফারুক হোসেন জানান, করোনার কারণে ছুটি হওয়ায় গ্রামে যাওয়ার জন্য বাসে ছিট না পেয়ে তিনি পিকআপের যাত্রী হয়েছেন। তবে যানজটের কারণে বুধবার সকাল পৌনে সাতটায় তিনি মির্জাপুর পর্যন্ত এসে আটকে আছেন বলে জানান।
ট্রাক চালক বাদশা মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধা ৬টায় ঢাকা থেকে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বুধবার সকাল ৬টায় তিনি মির্জাপুর এসে পৌচেছেন। অপর ট্রাক চালক চাঁনলাল জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় তিনি ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বুধবার সকাল সোয়া ৬টায় মির্জাপুর পর্যন্ত পৌঁছেছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান উল্লেখিত কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সকাল ১১টায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।