টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে রাহাদ (৮) নামের এক শিশুকে ট্রাক চাপায় হত্যার অভিযোগে মামলা করেছে কালিহাতী থানায়। মঙ্গলবার নিহতের নানা হাজী নেয়াজ আলী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলা করার পর আসামীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাদীর পরিবার।
অপরদিকে একটি প্রভাবশালী মহল মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার পায়তারা করছেন।
মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় কালিহাতী উপজেলার রামপুর রোজভ্যালী কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের প্রথম শ্রেনীর ছাত্র শিশু রাহাত সাইকেলযোগে বাড়ী যাওয়ার পথে একটি মাটি ভর্তি ট্রাক পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে সে গুরুত্বর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় নিহত রাহাদেও মামা ছানোয়ার হোসেন ট্রাক ও চালককে আটক করার চেষ্টা করে। এসময় রামপুর গ্রামের আব্দুল্লাহেল কাফির ছেলে মাটি ব্যবসায়ী এরশাদুল হক ছানোয়ার হোসেনকে মারপিট করে। এসময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ছানোয়ার হোসেন। পরে ট্রাক ও চাকলকে নিয়ে যায় এরশাদুল হক।
মঙ্গলবার মাটি ব্যবসায়ী এরশাদুল হককে আসামী করে থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলা করার পর ঘটনাস্থলের পাশে থাকা একটি পরিত্যাক্ত ট্রাকে আগুন দিয়ে বাদীকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পনা করেন বিবাদী পক্ষ। বিষয়টি বাদী পরিবার জানতে পেরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিহাতী থানার এসআই আনোয়ার হোসেনকে জানান। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে এসে পরিত্যাক্ত ট্রাকটি স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেনের জিম্মায় রেখে যান।
বাদী হাজী নেয়াজ আলীর সাথে বিবাদী এরশাদুল হকের শ^শুর শামছুল হকের দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।এই বিরোধের জের ধরেই ট্রাক চাপা দিয়ে শিশু রাহাদকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাদী পরিবার।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিহাতী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, এব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে,একটি পরিত্যাক্ত ট্রাক স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।