আদালত প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের সখীপুরে শিশু রাইসার (৩) হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছেন প্রতিবেশী আরমানের স্ত্রী সুমা খান (২২)।
বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সুমা খান।
তবে সুমার স্বামী আরমান খান আদালতে হত্যার দায় অস্বীকার করেছেন।
হত্যার শিকার রাইসার বাবা রাজু খান তিন-চার বছর আগে নিজের চাচা আরমান খানের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার করে ইরাক চলে যান। দেই দিচ্ছি বলেও টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না রাজু।
জবানবন্দিতে সুমা খান বলেছেন, পাওনা টাকা আদায়ে গত সোমবার বিকেলে রাইসাকে অপহরণ করে নিজেদের ঘরে আটকে রাখেন।
রাইসাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন ব্যাপক খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
তখন আরমানও অন্যদের সঙ্গে রাইসাকে খুঁজতে বের হন।
রাইসা কান্নাকাটি শুরু করলে সুমা খান শিশুটির মুখ চেপে ধরেন এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শিশুটিকে হত্যা করে; লাশটি বস্তায় ভরে ফেলেন।
তবে বাড়ির চারপাশে মানুষের আনাগোনা থাকায় বস্তাটি কোথাও লুকাতে পারেনি সুমা।
নিখোঁজের পাঁচ ঘণ্টা পর সোমবার রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশী আরমানের বাড়ির লাকড়ির মাচা থেকে শিশু রাইসার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে শিশুর মা লিপা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ প্রতিবেশী আরমান খান (৩৫) ও তার স্ত্রী সুমা খানকে (২২) মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার দেখায়।
বুধবার তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হলে সুমা দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, আদালতে শিশু হত্যার দায় স্বীকার করে সুমা খান জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত ওই দম্পতিকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সম্পাদনা – অলক কুমার