নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত সদস্যদের সততা, কর্তব্য নিষ্ঠা, দক্ষতা এবং শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যেমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য শুদ্ধাচার চর্চার স্বীকৃতি স্বরুপ সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন টাঙ্গাইল পুলিশের এএসআই মো. শামসুজ্জামান পিপিএম।
কর্মক্ষেত্রে প্রশংসনীয় এবং ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন এএসআই মো. শামসুজ্জামান পিপিএম।
এবছর গত ২৪ জুন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের জারিকৃত শুদ্ধাচার পুরস্কার নীতিমালা অনুসরণ করে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন জেলার মোট ৯৫ জন সদস্যকে শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০১৯-২০২০ প্রদানের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
প্রতি বছর প্রশংসনীয় এবং ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন পুলিশ সদস্যদের এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে।
শনিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর সেগুন বাগিচা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয় হতে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এর হাত থেকে শুদ্ধাচার পুরস্কার ও সম্মাননা সনদ গ্রহণ করেন তিনি।
এএসআই শামসুজ্জামান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আড়িয়া ইউনিয়নের পাককোলা গ্রামের মো. আতাহার আলী এবং মোছাঃ হোসনেয়ারা বেগমের চার ছেলের মধ্যে সর্বকনিষ্ট ছেলে।
তিনি ১৯৯১ সালের ০১ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার ইউসুফপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি বড় গাংদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগে ২০০৫ সালে এসএসসি; আমলা সরকারী কলেজ হতে বিজ্ঞান বিভাগে ২০০৭ সালে এইচএসসি; কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ হতে ২০১৪ সালে বিএসসি এবং পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ হতে রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগে ২০১৬ সালে মার্স্টাস পাশ করেন।
তিনি ২০১১ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে (আরআরএফ খুলনায়) যোগদান করেন। এরপর বান্দরবান পার্র্বত্য জেলা, টাঙ্গাইল জেলা এবং বর্তমানে ফরিদপুর জেলায় কর্মরত আছেন।
উল্লেখ্য, তিনি ২০১৮ সালে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত থেকে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যেমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন।
এবিষয়ে এএসআই শামসুজ্জামান পিপিএম বলেন, সব স্বীকৃতিই মানুষকে উজ্জীবিত করে। আমিও আনন্দিত এবং উৎসাহিত।
এ অর্জনের জন্য তিনি টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সম্পাদনা – অলক কুমার