অলক কুমার : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গয়হাটায় মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায় ছেলের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবীরা।
নিহত ব্যক্তি সুলতান হোসেন স্বপন (৫৫) কলেজ দপ্তরি ও গয়হাটা শ্যামপুর গ্রামের মৃত আ. হামিদ মিয়ার ছেলে।
এসময় অন্তত আরো দুই ব্যক্তি আহত হয়েছে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) আনুমানিক রাত ৮টায় উপজেলার গয়হাটা ঘুনি সিংজোড়া শহীদ তিতুমীর বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন – ভূঞাপুরে আ’লীগের বর্ধিত সভায় হাতাহাতি, কিন্তু কেন?
নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী, পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে ঘুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৪ জন যুবক ‘রানা, সোলাইমান, আলী, সাজ্জাদ’ মাদক সেবন করছিলো।
এসময় নিহতের ছেলে পলাশ যুবকদের স্কুল মাঠে মাদক সেবন না করার জন্য নিষেধ করেন।
এতে মাদকসেবীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশকে ধাওয়া করে এবং সে আত্মরক্ষায় দৌঁড়ে নিকট বাজারে ‘পাসুর চা দোকান’ এ আশ্রয় নেয়।
সেখানে থাকা পলাশের বাবা স্বপন (নিহত) এবং সে এগিয়ে আসায় এরপর মাদকসেবীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা করে।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে ফেনসিডিল সহ দুই কিশোর আটক
এছাড়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রতিবেশী চাচাতো ভাই আজমির এগিয়ে আসলে তাকেও মাদকসেবীরা আক্রমণ করে।
পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আশংকাজনক অবস্থায় স্বপন ও আজমিরকে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইমরান হোসেন গুরুতর আহত স্বপনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে গুরুতর আহত আজমিরকে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ এবং শিমুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানায়, উক্ত ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৭ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির কোন্দল গড়ালো আদালতে, কারণ দর্শানোর নির্দেশ
এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।