নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের বাসাইলে নির্মাণাধীন প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন।
একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশে ধর্মীয় আগ্রাসন চালিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর বা ভয় দেখানোর মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য প্রতিমা ভাঙচুর করেছে বলে অভিমত হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের।
আরো পড়ুন – চাঁদাবাজি করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে আটক বিএনপির নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার করাতিপাড়ার সাহাপাড়ার শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দিরে দুর্বৃত্তরা নির্মাণাধীন চারটি মূর্তি ভাঙচুর করেছে।
জানা যায়, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলেও বিভিন্ন পূজামন্ডপে দুর্গা প্রতিমা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
করাতিপাড়ার সাহাপাড়ার শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দিরে সাধারণ সম্পাদক দীপ্ত সাহা বলেন, দুর্গাপূজার প্রতিমাগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে।
আগেরদিন প্রতিমাতে মাটির কাজ করা হয়। পরে রাতের এক সময় মন্দিরের চারটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়।
বুধবার সকালে মন্দিরে গিয়ে দেখা যায় নির্মাণাধীন প্রতিমার মূর্তিগুলো ভাঙা। পরে স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করি।
বিগত ১৯ বছর ধরে ওই মন্দির আঙ্গিনায় দুর্গাপূজা হয়ে আসছে। এবারই প্রথম মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল।
এতে পূজা নিয়ে শঙ্কিত আমরা। আজকে রাত থেকে মন্দিরে পাহাড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
যেহেতু পূজা নিয়েছি যাতে আর ভাঙার ঘটনা না ঘটে এজন্য পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছি।
উপজেলার হাবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।
করাতিপাড়ার মন্দিরে কয়েকটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেগুলোতে কেবল মাটির কাজ করা হয়েছে। প্রশাসনের লোকজনও পরিদর্শন করেছে।
আরো পড়ুন – ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার উপর গুলি করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা
পূজা উদযাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু বলেন, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল তৎপর রয়েছে। তারাই এই ধরণের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
এবিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিটি মন্ডপে পাহাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কাউকে কোন সুযোগ দেয়া যাবে না।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল আমীন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কেউ এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
মন্দিরে মূর্তিগুলোর কাজ চলমান। এরমধ্যে কয়েকটি মূর্তির বিভিন্ন অংশ ভাঙা হয়েছে।