খবরবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককে রাজধানীর ইস্কাটন থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারের পর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন – আয়কর মওকুফ সুবিধা ফিরে পেল গ্রামীণ ব্যাংক
তিনি বলেন, রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে রাত পৌনে ৮টার দিকে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
এর আগে ৩ অক্টোবর আব্দুর রাজ্জাক ও তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়।
একই সঙ্গে তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ব্যাংক হিসাব স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মানি লন্ডারিং পরিপালন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।
বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত পাঁচ জন ও তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা।
এছাড়াও তাদের নামে কোনো লকার থাকলে তার ব্যবহার ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হলো।
ব্যাংক হিসাব স্থগিতের চিঠিতে আব্দুর রাজ্জাক, তার দুই ছেলে রেজওয়ান শাহনেওয়াজ সুজিত ও রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত এবং মেয়ে ফারজানা আক্তার তন্দ্রার পিতা–মাতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া স্ত্রী শিরিন আক্তার বানুর কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবারের সদস্য এবং তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিতের পাশাপাশি তাদের সব ব্যাংক হিসাব–সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণী বিএফআইইউর কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাকের বিস্তারিত –
টাঙ্গাইল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা।
খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে শেখ হাসিনার সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় তার ঠায় হয়নি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে আব্দুর রাজ্জাককে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।