‘যে গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছিল, আমরা ইনশাআল্লাহ পুনরায় বাংলাদেশে সে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা করব।’ এ কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অত্যাবশ্যকীয় যে সংস্কারগুলো রয়েছে, সে সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে যত দ্রুত সম্ভব জনগণের হাতে জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে এ প্রত্যাশা ১৮ কোটি মানুষের। আমরা ইনশাআল্লাহ পুনরায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব, যে গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছিল। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে জানিয়ে মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়, তারা বাধ্য হয়েছে ২০২৪ সালে; ঠিক যেভাবে ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমণের মুখে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে বন্দুকের মুখে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে একটি সরকার এসেছে, এই সরকার জনগণের সরকার, এই সরকার বাংলাদেশের মানুষের সরকার। আমরা বিশ্বাস করি, তাদের উপর যে গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে সেটি হচ্ছে দেশের মানুষকে ফিরিয়ে দিতে হবে। এটাই হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপরে দেশের ১৮ কোটি মানুষের ম্যান্ডেট। আমরা বিএনপি সর্বোতভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি, তারা যেন তাদের এই গুরু দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে।
যে গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতা, তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব : মঈন খান চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নৈশভোজ মঈন খানের গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছে উল্লেখ করে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে কিন্তু তারা কখনই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ছিল না। তারা ১৯৭১ সালে কাপুরুষের মতো পালিয়েছিল, পরবর্তীতে সংসদের ভেতরে গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল গঠন করেছিল। আর গত ১৫ বছরে এই দেশে অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ।