দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে সামরিক আইন জারির মাধ্যমে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন দেশটির আদালত। ইউন সুক ইওল দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট, যাকে অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হলো।
গণমাধ্যম বলছে, বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেসিডেন্টের সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা মৃত্যুদণ্ড। দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন আরোপের চেষ্টা করেছিলেন। ইউনের এই অপ্রত্যাশিত সামরিক আইন প্রয়োগের প্রচেষ্টায় হতবাগ হয় দেশটির জনগণ। এ ঘটনার জেরে অভিশংসিত হন তিনি। এরপর কিছুদিন ধরে আটক আছেন সিউলের বন্দিশালায়।
ইউনকে গ্রেপ্তারে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টা প্রাথমিকভাবে রুখে দেন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর (প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস-পিএসএস) সদস্যরা। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এবার অভিযুক্ত হলেন সামরিক আইন জারির মাধ্যমে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে।
১৪ ডিসেম্বর ইউনকে অভিশংসন করা হয় এবং তার দায়িত্ব স্থগিত করা হয়। এটি দীর্ঘ সময়ের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছে।
বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযুক্ত হলে আইন অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়মুক্তির কোনো সুযোগ নেই বলে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে।