ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি জয়ে গতকাল সিরিজ নিশ্চিত হয়েছে ভারতের। তবে এই ম্যাচের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অলরাউন্ডার শিবম দুবের বদলে বোলার হর্ষিত রানাকে ম্যাচের মাঝে কনকাশন সাব হিসেবে নামায় ভারত। তা নিয়েই মূলত বিতর্ক।
ভারতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন অ্যালিস্টার কুক, কেভিন পিটারসেনসহ ইংল্যান্ডের সাবেকরা। বিতর্কিত এ সিদ্ধান্তের পর প্রশ্ন উঠেছে-আসলে নিয়মটা কী ছিল? এবার ভোরতের বোলিং কোচ মরনে মরকেল বুঝিয়ে দিলেন কোন নিয়মে হর্ষিতকে খেলিয়েছে ভারত।
মরকেল এই বিষয়টিকে বিতর্ক মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, ব্যাট করার পর সাজঘরে ফিরে শিবমের মাথায় ব্যথা শুরু হয়।
সেই কারণে আমরা কনকাশন পরিবর্ত হিসাবে ম্যাচ রেফারির কাছে একটা নাম জমা দিই। ম্যাচ রেফারি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হর্ষিতকে খেলানো যাবে। সেটাই শেষ সিদ্ধান্ত।’
ব্যাটিং করার সময় জেমি ওভারটনের বল শিবমের হেলমেটে লাগে।
ইনিংস শেষ করে সাজঘরে ফেরার পর মাথাব্যথা শুরু হয় তার। যে কারণে কনকাশন সাব নামায় ভারত।
ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বলেছিলেন, ‘শিবমের বদলি কখনও হর্ষিত হতে পারে না। বিশ্বের যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই এটাই বলবে। শিবম পেসার নয়।
কিন্তু হর্ষিত পুরোপুরি পেসার। এটা নিয়ে ম্যাচের পর কথা হবে।’
অথচ ভারতীয় দলে পেসার অলরাউন্ডার হিসাবে রমনদীপ সিংহ ছিলেন। তার পরেও হর্ষিতকে খেলানোয় বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কনকাশন সাবের নিয়ম চালু হয় ২০১৯ সালে। আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনের ১. ২. ৭. ৩ ধারায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বদলি হিসেবে যে খেলোয়াড় নেওয়া হবে সেই খেলোয়াড়ের ভূমিকা আঘাত পাওয়া ক্রিকেটারের মতো (লাইক টু লাইক) হতে হবে। এই বদলিতে দল যেন অতিরিক্ত সুবিধা না পায়, সেই বিষয়ের কথা উল্লেখ করা আছে। এসব মিলে গেলেই ম্যাচ রেফারি অনুমোদন দেবেন।
আবার ১. ২. ৭. ৭ ধারায় বলা আছে, এ ক্ষেত্রে ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কোনো দলই আপিল করতে পারবে না। এই ম্যাচের ম্যাচ রেফারি ছিলেন ভারতের সাবেক পেসার জাভাগাল শ্রীনাথ।
ম্যাচে ৩৪ বলে ৫৩ রানের সেরা ইনিংসটি খেলেন শিবম আর বোলিংয়ে সেরা তারই কনকাশন সাব হর্সিত রানা।