টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গুড়িয়ে দেওয়া অবৈধ সেই সাত ইটভাটায় চতুর্থ দফায় অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার বহুরিয়া. চান্দুলিয়া, পাথালিয়াপাড়া ও দেওহাটা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এছাড়া বহুরিয়া এলাকার এইচএসবি ব্রিকসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় দুই লাখ টাকা এবং ধেরুয়া এলাকার হাকিম ব্রিকসের কাগজপত্র না থাকায় ভাটা মালিকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন বিচারক। গুড়িয়ে দেওয়া ইটভাটাগুলো হলো— বহুরিয়া গ্রামের আরবিসি ব্রিকস, এমএসবি ও বাটা ব্রিকস, চান্দুলিয়া গ্রামের এইচইউবি ব্রিকস, দেওহাটা গ্রামের মল্লিকপাড়ার সনি ব্রিকস ও রান ব্রিকস এবং পাথালিয়াপাড়ার বিঅ্যান্ডবি ব্রিকস।
এর মধ্যে রান ব্রিকসটির কিছু অংশ মির্জাপুর পৌরসভার বাইমহাটী এলাকায় পড়েছে। প্রত্যেক ইটভাটায় কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ একর তিন ফসলি জমি ব্যবহার করা হয়েছে। এ সয়ম টাঙ্গাইলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল জেলার উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক, সহকারী পরিচালক সজীব কুমার ঘোষ, পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সুত্রধর, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদ্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল জেলার পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সুত্রধর বলেন, কয়েকদিন আগে গুড়িয়ে দেওয়া ইটভাটাগুলো পরির্দশন করে ভাটা বন্ধ এবং ইট দিয়ে স্থায়ী চিমনি তৈরি করতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলাম।
তারপরও তারা ভাটায় স্থায়ী চিমনি ও ইট তৈরি এবং পোড়ানোর কাজ চলমান রেখেছিলেন। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, গুড়িয়ে দেওয়া ইটভাটাগুলোতে ফের চিমনি তৈরি করে ইট পোড়ানো হচ্ছিল। অভিযান চালিয়ে ভাটাগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া দুই ভাটা মালিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদেরকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।