টাঙ্গাইলের মধুপুরে লালন স্মরণোৎসব বন্ধ ও পরে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি, ভূঞাপুরে বসন্ত ও ভালবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করায় ফুলের দোকান ভাঙচুরের পর এবার পাশের উপজেলা গোপালপুরে বন্ধ হয়ে গেল ঘুড়ি উৎসব।
শনিবার বিকেলে গোপারপুর উপজেলার নলীন বাজারের পাশে এই উৎসব হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার উৎসব বিরোধী একটি লিফলেট বিতরন করা হয় ওই এলাকায়। আয়োজকরা জানান, ওই লিফলেট পাওয়ার পরও তারা ঘুড়ি উৎসব বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছিলেন। পরে ভূঞাপুরে ফুলের দোকানে হামলার ঘটনার পর উৎসব না করার সিদ্ধান্ত নেন। যে কোন অপ্রতীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
উৎসবের অন্যতম সংগঠক মুক্তিযোদ্ধা নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঞ্জু আনোয়ারা বলেন, প্রতি বছর উৎসবে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৩/৪ শাতাধিক শিক্ষার্থী, তরুণ ঘুড়ি উড়াতে আসে। সেখানে এ উপলক্ষে লোকজ গানেরও আয়োজন করা হয়। এবার উৎসবের বিরোধিতা করে লিফলেট বিতরন করা হয়েছে। সরাসরি এসে কেউ বাঁধা দেননি। তবে শুক্রবার ভূঞাপুরে ফুলের দোকানে হামলার ঘটনার পর ঘুড়ি উৎসব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান,
আজ গোপালপুর উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ফোন করে উৎসব করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে তিনি ঘুড়ি উৎসব করা নিরাপদ মনে করছেন না। গত কয়েক বছর ধরে “আমরা গোপালপুরবাসী ফেসবুক গ্রুপ”, শুভশক্তি বাংলাদেশ ও মুক্তিযোদ্ধা নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ উৎসবের আয়োজন করে আসছে। শুক্রবার বিকেলে ভূঞাপুর তৌহিদী জনতা ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর থানা সংলগ্ন কলেজ রোডে মামা গিফট কর্নারে ভাঙচুর করে। এছাড়া বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের সামনে বিক্ষোভ করে। এ কারনে ভূঞাপুরে শুক্রবার উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী বসন্ত বরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করে।
উদীচী ভূঞাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী হাসান জানান, ভালবাসা দিবসের বিভিন্ন ঘটনার কারণে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বসন্তবরণের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তীতে বসন্তবরণ অনুষ্ঠান করা হবে।
ফুলের দোকানী মো. আলম জানান, শুক্রবার বিকেলে কিছু লোকজন এসে তার দোকান ভাংচুর করে ফুল রাস্তায় ফেলে দেয়। ভালবাসা দিবসে কেন ফুল বিক্রি করছেন এ জন্য তাকে গালাগাল করে। হামলাকারীরা আগেরদিন ভালবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করতে নিষেধ করে গিয়েছিল।