দীর্ঘমেয়াদী বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে টাঙ্গাইল এলজিইডি’র ক্ষতি বেড়েই চলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবছর দীর্ঘমেয়াদী বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে টাঙ্গাইলে এলজিইডি’র সড়ক-ব্রিজ ভেঙে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।

আগস্ট মাস পর্যন্ত এলজিইডি’র আওতায় সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্ট ভেঙে প্রায় পৌনে তিনশ’ কোটি টাকার ক্ষতি নিরুপণ করা হয়েছিল।

কিন্তু পুরো সেপ্টেম্বর মাসেও ভারী বর্ষন ও বন্যার পানি না নামায় বিভিন্ন স্থানে সড়ক, সেতু ও কালভার্ট নতুন করে ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

এবিষয়ে টাঙ্গাইল এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম আজম বলেন, গত আগস্ট মাস পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপণ করা হয়েছে।

সেই হিসাব মতে, জেলার ১২টি উপজেলার ৩২৮টি রাস্তা, ৭৩টি ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর মধ্যে বাসাইল উপজেলায় ৪০টি রাস্তা ও ব্রিজ, ৭টি কালভার্ট; সখীপুরে ৮টি রাস্তা ও ১০টি কালভার্ট; মির্জাপুরে ২৫টি রাস্তা ও ১১টি ব্রিজ-কালভার্ট; দেলদুয়ারে ৭১টি রাস্তা ও ১৩টি ব্রিজ-কালভার্ট; ভূঞাপুরে ২৫টি রাস্তা ও দুইটি ব্রিজ-কালভার্ট; নাগরপুরের ৩৬টি রাস্তা ও ৫টি ব্রিজ-কালভার্ট।

এছাড়া কালিহাতীতে ১৯টি রাস্তা ও ৫টি ব্রিজ-কালভার্ট; ঘাটাইলে ৩৪টি রাস্তা ও ৫টি ব্রিজ-কালভার্ট; গোপালপুরে ১০টি রাস্তা ও ৫টি ব্রিজ-কালভার্ট; টাঙ্গাইল সদরে ৩৮টি রাস্তা ও ৩টি ব্রিজ-কালভার্ট এবং ধনবাড়ী উপজেলায় ২২টি রাস্তা ও ৭টি ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এসবের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দুইশ’ ছেষট্টি কোটি তেতাল্লিশ লাখ ১৭ হাজার টাকা।

এসময় তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপণের পরেও পুরো সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এতে করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেড়ে যাচ্ছে। আর্থিক ক্ষতির পরিমান তিনশ’ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম আজম আরো জানান, ‘একটি পূর্নবাসন প্রকল্প লাগবে। সাধারণত যেগুলো হয়তো ছোটখাটো ক্ষতি হয়েছে, বড় ক্ষতি হয়নি; সেগুলো আমরা সার্ভে করছি।

খুব দ্রুতই আমরা কিছু রাস্তার অনুমোদন পেয়ে যাবো।

এরপর টেন্ডার কার্যক্রম শেষ করে ডিসেম্বর নাগাদ কাজ শুরু করতে পারবো।’ সম্পাদনা – অলক কুমার