বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী আর ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করে অন্যায় করে জুলুম করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সাড়ে তিন দিনও কিন্তু টিকতে পারে নাই। জনতার এই উত্তাল ঢেউ থামানো যাবে না। এসময় তিনি বলেন, আমাদের প্রাণের প্রতীক দাড়িপাল্লা মার্কা, দাড়িপাল্লা মার্কা নিয়ে তাল বাহানা কইরেন না। কিসের নিবন্ধন? আগে তো আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি বাংলাদেশে, তখন তো নিবন্ধনের প্রয়োজন পরে নাই। এখন আবার কিসের নিবন্ধন?
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলার আমীর আহসান হাবীব মাসুদ।
এসময় তিনি নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই নিবন্ধনের আইন, একটা অবিচারের আইন। মানুষের স্বাধীনতা, রাজনীতি করার ক্ষমতাকে খর্ব করার আইন। এই নিবন্ধন উঠিয়ে দেন। বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক তার যে কোন মতাদর্শে রাজনীতি করতে পারে। কোন নিবন্ধনের প্রয়োজন নাই। এসময় তিনি বলেন, ১/১১ সরকার ও তৎকালীন নির্বাচন কমিশন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই আইনটি তৈরি করেছিল। এটা জনগণের টুটি চেপে ধরার একটি আইন। রাজনৈতিক দলের গলা চেপে ধরার একটি আইন। এই আইনকে আমরা মানি না। যে আইনের কারণে জনগণ স্বাধীন ভাবে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, আগামি দিনের সংসদ হবে জনতার সংসদ। আগামি দিনে দেশ পরিচালনা করবে এদেশের জনগণ। পরে তিনি ৭১ টিভির উপস্থাপিকা ফারজানা রূপার টক শো নিয়ে তীব্র নিন্দা জানান। পরিশেষে তিনি আবারো বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। এসময় তিনি, জামায়াত ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেন। জামায়াতের দাবি ফিরিয়ে না দিলে
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- জেলা নায়েবে আমীর খন্দ. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা শাখার সেক্রেটারি হুমায়ুন কবীর, জেলার সহকারী সেক্রেটারি ড. হুসনে মুবারক বাবুল, শফিকুল ইসলাম খান, জেলা জামায়েতের ওলামা বিভাগের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ তালুকদার, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের টাঙ্গাইল জেলার সভাপতি ডা. একেএম আব্দুল হামিদ প্রমুখ।