মধুপুর সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মধুপুরে সদ্য প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমাদ শফিকে নিয়ে ফেইসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মধুপুরে এক জটিলতায় সৃষ্টি হয়েছিল।
পরে মন্তব্যকারী মাওলানা ইব্রাহিম খলিল ক্ষমা চাওয়ায় আসন্ন অশান্ত পরিবেশ আপাতত শান্ত হয়েছে।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে মধুপুর উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় সমঝোতা বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা হয়।
উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের উত্তর লাউফুলা গ্রামের মু. ইসহাক আলীর ছেলে মাদরাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম ইব্রাহিম খলিল ফেইসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
এ নিয়ে মধুপুর আলেম সমাজের মধ্যে বিরোধ দানা বাদার উপক্রম হচ্ছিল। আশংকা করা হচ্ছিল পরিবেশ অশান্তের।
এর আগে বৃহস্পতিবার মন্তব্যকারীর বিচার দাবিতে ওলামা পরিষদের মধুপুর শাখার পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
পরে ওলামা পরিষদ রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের আনারস চত্ত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আহবান করলে পরিবেশ অশান্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়।
মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু উদ্যোগ নিয়ে অশান্ত পরিবেশ এড়াতে সমঝোতা বৈঠকের আহবান করেন।
তার আহবানে সমঝোতা বৈঠকে আলেম সমাজের প্রতিনিধি, ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ, মসজিদের ইমাম, মাদারাসার অধ্যক্ষসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
সমঝোতা বৈঠকে ইব্রাহিম খলিল তার ভুল স্বীকার করেন।
ভবিষ্যতে তিনি এমন আচরণ না করার প্রতিশ্রুতি দিলে পরিবেশ শান্ত ও রবিববারের কর্মসূচি প্রত্যাহার হয়।
পরে সদ্য প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমাদ শফির আত্মর মাগফেরাত ও সার্বিক মঙ্গল কামনায় মোনাজাত পরিচালিত হয়।
সমঝোতা বৈঠকে উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান ছাড়াও আলোকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাইদ তালুকদার দুলাল, ওলামা পরিষদের সভাপতি মাও. আবদুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল মুমিন, অধ্যক্ষ মাও. আফজাল হোসাইন, বড়বাইদ এতিমখানার প্রধান মাও. ইমাম আলী, বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের মাহতামিম মুফতি আনোয়ার হোসেন, ইমাম মাও. আবদুল ওয়াহাব, উপজেলা জামে মসজিদের ইমাম মাও. মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।