জাপানে জন্মগ্রহণকারী শিশুর সংখ্যা টানা নবম বছরের মতো কমেছে এবং ২০২৪ সালে রেকর্ড সর্বনিম্ন ৭ লাখ ২০ হাজার ৯৮৮ জনে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এই তথ্য। এর কারণ তরুণরা বিবাহ বিলম্বিত করছে এবং বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক বছর আগের তুলনায় জন্ম ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ১.৬২ মিলিয়নের রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।
এর অর্থ, প্রতি নবজাতকের বিপরীতে দুইজনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এ ছাড়া গত বছর জাপানে জন্মগ্রহণকারী শিশুর সংখ্যা ১২৫ বছর আগে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রাথমিক সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, জাপানে ২০২৪ সালে ৭ লাখ ২০ হাজার ৯৮৮টি জন্ম রেকর্ড করা হয়েছে। যার মধ্যে বিদেশি নাগরিকরাও ছিলেন, যা ২০২৩ সালের ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩১ থেকে পাঁচ শতাংশ কম।
টানা নয় বছর ধরে এই সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে এবং বিবাহিত দম্পতিদের আরো সন্তান জন্মদানের জন্য আর্থিক ও অন্যান্য সরকারি প্রণোদনা বিষয়টিতে প্রভাবিত করতে পারেনি বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির জনসংখ্যাগত সংকট আরো গভীর হচ্ছে এবং এই হ্রাসের লাগাম টানতে সরকারি প্রচেষ্টা ব্যর্থ।
গত সপ্তাহে অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা গেছে, জাপানের মোট জনসংখ্যা এই মাসে ১২৩.৫৪ মিলিয়নে পৌঁছেছে, যা এক বছর আগের তুলনায় ০.৪৬ শতাংশ কম। বুধবারের তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে প্রতি ১ হাজার জনে জন্মগ্রহণকারী শিশুর সংখ্যা বেড়েছে, যা এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবার।
১৯৭৩ সালে জাপানে জন্মের হার সর্বোচ্চ ২১ লাখে পৌঁছেছিল। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা বলেছেন, জনসংখ্যা সংকট মোকাবেলা করা তার শীর্ষ অগ্রাধিকারের মধ্যে একটি। কিন্তু শিক্ষার উচ্চ ব্যয়, স্থবির অর্থনীতি এবং পরিবর্তিত জীবনধারার কারণে তরুণরা পরিবার শুরু করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।