গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। গতকাল রবিবার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলেছে, আলোচনা শুরুর ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে গতকাল ইসরায়েল বলেছে, কাতারের দোহায় প্রতিনিধিদল পাঠাবে তারা। যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি-ফিলিস্তিনি বন্দি নিয়ে আলোচনাকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করবে তারা। এদিকে চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যে গতকাল গাজা সিটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরো কয়েকজন আহত হয়। হাসপাতালের চিকিসৎসরা বলেছেন, আহতদের অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপূর্ণ। ইসরায়েলের টানা অবরোধের মুখে গাজায় পণ্য ও ত্রাণসামগ্রী না ঢোকায় পরিস্থিতি বিপর্যয়কর হয়ে উঠেছে। গাজার খান ইউনিস শহরে ছয়টি বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে জ্বালানিসংকট দেখা দেওয়ায় বেকারিগুলো পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।
হাজারো পরিবারের জীবন এগুলোর ওপর নির্ভর করে। এদিকে যুদ্ধবিরতি আলোচনা প্রসঙ্গে হামাস বলেছে, তাদের প্রতিনিধিদল মিসরের কায়রোয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। তারা অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘কোনো শর্ত বা বিধি-নিষেধ ছাড়া’ জরুরি মানবিক সহায়তা প্রবেশের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। সেই সঙ্গে হামাস যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চায়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু প্রসঙ্গে হামাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, এ ব্যাপারে তারা এখন পর্যন্ত ইতিবাচক আভাস পেয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েল বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়িয়ে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত রাখতে চায়।
গত ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় ১ মার্চ শেষ হয়, যা ছয় সপ্তাহ ধরে তুলনামূলক শান্ত পরিবেশ বজায় রেখেছিল। এই সময়ের মধ্যে হামাস ২৫ জীবিত জিম্মি ও আটটি মৃতদেহ হস্তান্তর করেছিল, বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে প্রায় এক হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়।