সাভারের আমিনবাজার পাওয়ার গ্রিডে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের টানা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন এখনও পুরোপুরি নির্বাপণ করা যায়নি।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাভার ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো: সালেহ উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে আমিনবাজার পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ এর ভিতরে একটি ট্রান্সফরমার থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে প্রথমে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। কিন্তু ট্রান্সফরমারের অয়েল ট্যাংকারে আগুন লাগায় তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। পরবর্তীতে সাভার, মিরপুর, ফায়ার সদর দপ্তর, কুর্মিটোলা, চামড়া শিল্প নগরী ও সিদ্দিক বাজারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়। তিনি আরো জানান, টানা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন এখনো নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি।
আপাতত আগুন ছড়িয়ে পড়ার আর কোন সম্ভাবনা নেই । আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে কত সময় লাগতে পারে সেটিও এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু এটি অনেক বড় একটি পাওয়ার গ্রিড, এখানে অনেকগুলো ট্রান্সফরমার রয়েছে। এর মধ্যে একটি ট্রান্সফরমারের অয়েল ট্যাংকার থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে, বাকি ট্রান্সফরমারগুলো অক্ষত রয়েছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে পারেন তাতে আমাদের পক্ষ থেকে কোন বাঁধা নেই। এছাড়া আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণের পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
যেহেতু এখানে টেকনিক্যাল কিছু বিষয় রয়েছে, তদন্ত কমিটি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষতির বিষয়ে জানাতে পারবে। এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুবকর সরকার জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিসের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি এখানে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা সার্বিক বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিলে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানা যাবে।