প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের বক্তব্য আরও কৌতূহল বাড়িয়েছে। তিনি বলেছেন, “গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসতে পারে।” তবে তিনি এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি, শুধু বলেছেন, “অপেক্ষা করুন এবং দেখুন।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সফরে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক, বিনিয়োগ, ম্যানুফ্যাকচারিং হাব, তিস্তা প্রকল্প এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বাংলাদেশ চায় চীনের কারখানা স্থানান্তর করে বাংলাদেশকে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত করতে। একই সঙ্গে অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্রিজ, কনভেনশন সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রকল্পে চীনের অর্থায়ন অব্যাহত রাখার বিষয়ে আলোচনা হবে।
এছাড়া, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে চীনের সমরাস্ত্র ক্রয়, এয়ারক্রাফট বিক্রি এবং কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রও নজর রাখছে। এ সফরে কোনো চুক্তি না হলেও বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (MoU) সই হতে পারে বলে জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন এবং বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তিস্তা প্রকল্পে চীনের অর্থায়ন নিয়ে ভারতের উদ্বেগ থাকলেও বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে আরও শর্ত শিথিলের অনুরোধ জানাতে পারে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের গঠনমূলক ভূমিকা প্রত্যাশা করা হচ্ছে।











