পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের ১১ দিনে (২৭ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল) দেশের সড়কপথে ২৫৭টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৪৯ জন। আহত হয়েছেন ৫৫৩ জন, তবে প্রকৃত সংখ্যা ২ হাজারেরও বেশি। শুধু রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ঈদের দু’দিনেই ভর্তি হয়েছেন ৫৭১ জন, যাদের বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মূল পরিসংখ্যান:
-
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা: ১১৪টি, নিহত ১০৬ জন (মোট মৃত্যুর ৪২.৫৭%)
-
পথচারী নিহত: ৩৯ জন (১৫.৬৬%)
-
চালক ও সহকারী নিহত: ৩২ জন
-
নৌ-দুর্ঘটনায়: ৬টি ঘটনায় নিহত ১৩ জন
-
রেল দুর্ঘটনায়: ১৭টি ঘটনায় নিহত ১২ জন
দুর্ঘটনায় নিহতদের যাতায়াত মাধ্যম অনুযায়ী বিবরণ:
-
মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী: ১০৬ জন
-
থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক/সিএনজি): ৪৯ জন
-
প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস: ১৮ জন
-
বাস যাত্রী: ১৪ জন
-
ট্রাক-পিকআপ ইত্যাদি: ৯ জন
-
স্থানীয় যান (নসিমন-করিমন ইত্যাদি): ১০ জন
-
বাইসাইকেল আরোহী: ৪ জন
দুর্ঘটনার অবস্থান অনুযায়ী:
-
জাতীয় মহাসড়ক: ৩৩.৮৫%
-
আঞ্চলিক সড়ক: ৩৮.১৩%
-
গ্রামীণ সড়ক: ১৬.৭৩%
-
শহরাঞ্চল: ১১.২৮%
দুর্ঘটনার ধরন:
-
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে: ৪৩.৯৬%
-
মুখোমুখি সংঘর্ষ: ২৬.৪৫%
-
পথচারীকে ধাক্কা: ১৫.৯৫%
-
পেছন থেকে আঘাত: ৯.৩৩%
সময় বিশ্লেষণ:
-
সকাল-বিকালেই বেশি দুর্ঘটনা: সকাল ২৩.৩৪%, বিকাল ২৬.৮৪%
বিশ্লেষণে স্পষ্ট, দেশের সড়কপথে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির বড় কারণ হিসেবে উঠে আসছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা।