টাঙ্গাইলের গোপালপুরের মো. সালমান নামে এক সংবাদ কর্মী ও তার পরিবারের উপর হামলা ও বাড়ি ভাংচুর করার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।
সালমান বিটিভি ও বেতারের নিয়মিত শিল্পী ও সহযোগী পরিচালক।
ভুক্তভোগী সংবাদ কর্মী মো. সালমান বলেন, গত ৩১ মার্চ রাতে গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বড়শিলা গ্রামের মৃত আ. করিমের ছেলে আরিফুল, রফিকুল, শরিফুল, মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে রুবেল, আরিফুল ইসলামের স্ত্রী আকলিমা বেগম, রফিকুল ইসলামের স্ত্রী তমা বেগম, মৃত আ. করিমের স্ত্রী হেনা বেগম। এদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত আমার পরিবারের জমিজমা বিষয়ে ঝামেলা চলছিলো। এরপর ৩১ মার্চ তারিখ সন্ধ্যার দিকে আমার বাড়িতে হটাৎ করে লোকজন নিয়ে বাড়ি মাপার জন্য অযুহাত নিয়ে এসে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে। এসময় অন্যন্য প্রতিবেশিরা এসে বিবাদীদেরকে অন্যায় ধরে পরের দিন সকালে সামাজিকভাবে মিমাংসা করার জন্য বলে। এরপর ওইদিন রাত ১১টার পরে হঠাৎ করে আরিফুল, শরিফুল ও রফিকুল সহ সবুজ মিয়া ও অপুর নের্তৃত্ব একদল সন্ত্রাসী (৬০/৭০ জন) আমাদের বাড়িতে এলোপাথাড়ি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এক পর্যায়ে আমরা জীবন বাঁচানোর জন্য ঘরের ভিতরে দরজা আটকিয়ে দেই, এরপর তারা দরজা, জানালা ভেঙ্গে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে। ঘরে প্রবেশ করে হত্যার উদ্যেশে আমার ছোট ভাই ও ছোট ভাইয়ের বউ, আমার মাসহ বাড়ির সবাইকে মারধর করে নিলাফুলা জখম করে।
বাড়িতে আমার ছোট ভাইয়ের ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার জন্য জমানো ১০ লাখ টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন, ঘরের আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন সামগ্রিক ভাংচুর করে যার মূল্য প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এরপর আমি চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয় চলে যায়। এমতা অবস্থায় আমরা জীবন রক্ষা করার জন্য ৯৯৯ সাহায্য প্রার্থনা করি। এরপর গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সহ পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আমাদের উদ্ধার করে । এরপর স্থানীয় লোকজন ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করায়। এই ঘটনার পূর্বেও ৪ বছর আগে এই সন্ত্রাসীরা আমিসহ আমাদের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে।
তিনি আরও বলেন, আমি ওই সময়ে মামলা করে আসামীদেরকে গ্রেফতার করালে স্থানীয় গণ্যমাণ্য লোকদের মাধ্যমে গ্রাম্য শালিসী ভাবে সমাধানের জন্য অভিযোগ উঠিয়ে নিতে অনুরোধ করে। আমি অভিযোগ উঠালে পরবর্তীতে তারা শালিশী বেঠকে অনুপস্থিত থাকে। এরপর থেকে তারা পরিকল্পনা করতে থাকে কিভাবে আমাদের বাড়ি দখল করবে। আমাদের বাড়ির জমি নিয়ে স্থানীয় মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করে আমার ছোট ভাই নাজমুল হাসান। সেই অভিযোগের বিষয়টি এখনো সমাধান হয়নি। অভিযোগ করার কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এই সন্ত্রাসীরা।
আমি বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি যার নাম্বার (১ এপ্রিল ২০২৫, মামলা নং-১, বাৎসরিক নম্বর-৩৩, আইনের নাম ও ধারা-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৪২৭/৫০৬/(২)/১১৪/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০)। কিন্তু এখনো কোন আসামী গ্রেফতার করেনি গোপালপুর থানা পুলিশ, আসামীরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে তবু পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মামলা করার কারণে আসামীরা সরাসরি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনদের মাধ্যমে ও মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে। আমি এই সন্ত্রাসীদের কঠিন বিচার দাবী করছি। আমি জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অনুরাধ করছি যেন অতি তাড়াতাড়ি আসামীদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।