নিজস্ব প্রতিবেদক : ধারণক্ষমতার ১০ গুণেরও বেশি ওজনের ট্রাক সেতু দিয়ে পারাপারের সময় ভেঙে পড়ে সেতুটি।
যদিও সেতুটির দুই পাশে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি টানানো রয়েছে।
এছাড়াও ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল না করার জন্য বাস-ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতে অন্ধকারে ধারণক্ষমতার ১০ গুণেরও বেশি ওজনের ট্রাক পার হওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন সওজ কর্তৃপক্ষ।
সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্রে জানা যায়, বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের নাকাছিম এলাকায় লাঙ্গুলিয়া নদীর উপর পুরাতন ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রীজ নির্মাণ শুরু করা হয়।
সাধারণের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ওই সময় বেইলী ব্রিজটি পুনরায় মেরামত করা হয়।
সম্প্রতিক বন্যায় পানির স্রোতে ব্রীজটি বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হলে স্থানীয় প্রশাসন এ ব্রীজ দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
সেসময় সওজ কর্তৃপক্ষ বাসাইল ও সখীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান; উপজেলা নির্বাহী অফিসার; অফিসার ইনচার্জ (ওসি); টাঙ্গাইল, বাসাইল ও সখীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, বাস-মিনিবাস-ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সমিতিকে অবহিত করেন।
নিষেধ সত্ত্বেও প্রায়ই রাতের আধাঁরে বালুবাহী ছোটবড় ট্রাকসহ ভারীযান যাতায়াত অব্যাহত ছিলো।
রবিবার রাতে বালুভর্তি একটি ড্রামট্রাক ব্রীজের মাঝামাঝি পৌঁছলে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে।
এসময় ট্রাকের চালক নিরাপদে গাড়ি থেকে নামতে পারলেও হেলপার ট্রাকের ভেতর আটকা পরে যায়।
টাঙ্গাইল এবং বাসাইল ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দীর্ঘ তিনঘন্টা চেষ্টা করার পর রাত দুইটার সময় হেলপারকে জীবিত উদ্ধার করতে সমর্থ হয়।
ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বাসাইল, সখিপুর, ভালুকাসহ কালিহাতি উপজেলার দক্ষিণাংশ, মির্জাপুর উপজেলার উত্তরাংশের প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ব্রিজের দুইপাড়ে প্রায় অর্ধসহস্রাধিক সিএনজি, ব্যাটারী চালিত অটো, অটো রিক্সা, পিকআপ, বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর গাড়ি, মোটর সাইকেল আটকা পড়ে আছে।
এতে করে এসব এলাকার সরকারী, বেসরকারী, এনজিও প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবি যারা টাঙ্গাইল থেকে প্রতিদিন যাতায়াত করেন তারাও ব্যাপক দূর্ভোগে পড়েছে।
কি বলছে কর্তৃপক্ষ?
এবিষয়ে মির্জাপুর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান ফারহান জানান, অতিরিক্ত মাটি বোঝাই ট্রাক রাতের আধাঁরে সেতুর উপর দিয়ে পার হওয়ার সময় প্যানেলের সাথে ধাক্কা লাগে।
সাথে সাথে সেতুটি ভেঙে পড়ে।
এবিষয়ে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, দূর্ঘটনা কবলিত ট্রাক উঠানোর কাজ চলছে।
ট্রাক উঠিয়েই ব্রীজ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।
আশাকরছি পরবর্তী দুইদিনের মধ্যেই চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বালুভর্তি অভারলোড ট্রাক যাওয়ায় ব্রীজের এক অংশ ভেঙ্গে গেছে।
আমাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
দ্রুত সময়ে মধ্যে বাসাইলের সাথে টাঙ্গাইলের সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে।
উল্লেখ্য, ১লা অক্টোবর এসব এলাকার বিকল্প সড়ক হিসেবে পরিচিত বাসাইল-নাটিয়াপাড়া রোডের একটি কালভার্ট ভেঙ্গে গিয়ে ওই সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সম্পাদনা – অলক কুমার