নাগরপুর প্রতিনিধি : মৃত্যুর সময় চাচা হাত ধরে ছিল ভাতিজির।
হয়তো ভাতিজি পানিতে ডুবে যাওয়ার সময় ছোট্ট চাচা তাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের ভারসাম্য না রাখতে পেরে পানিতে পরে যায়।
আর এতেই সলিল সমাধি হয় দুই চাচা ও ভাতিজির।
চাচা-ভাতিজির এরকম মর্মান্তিক মৃত্যু হয়ে টাঙ্গাইলের নাগরপুরের পোষ্টকামারী গ্রামে।
নিহত দুই শিশু ওই গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. হাবিব মিয়া (৪) ও মো. ওহাব মিয়ার মেয়ে সামিয়া (৩)।
স্বজনরা শিশু দুটিকে উদ্ধার করে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার এদেরকে মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে শিশু দুটি মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম।
স্বজনদের আহাজারিতে সেখান কার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
এ সময় নিহত হাবিবের মা সোনিয়া আক্তার ও সামিয়ার মা কল্পনা আক্তার বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন।
এদের কান্না ও আর্তচিৎকারে উপস্থিত জনতাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারে না।
পারিবারিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়ীর পাশের ডোবায় ঘাটে নৌকা বাধা ছিলো।
শিশু দুইটি খেলার উদ্দেশ্যে নৌকায় উঠার চেষ্টা করে। সে সময় পা পিছলে দুজনেই পানিতে পড়ে যায়।
প্রায় এক ঘন্টা পর শিশু হাবিবের ফুফু রোজিনা আক্তার প্রথমে হাবিবের মৃত দেহ পানিতে ভাসতে দেখে।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্বজনরা নিহত হাবিবের লাশের সাথে হাত ধরে থাকা অপর শিশু সানিয়াকেও উদ্ধার করা হয়।
জানতে চাইলে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. রোকনুজ্জামান জানান, শিশু দুটিকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে আসা হয়। সম্পাদনা – অলক কুমার