চলতি বছরের হজযাত্রার সূচনা হলো। সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের প্রথম হজ ফ্লাইট সোমবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এসভি-৩৮০৩-এ ৩৯৮ জন হজযাত্রী যাত্রা করেন পবিত্র বায়তুল্লাহর উদ্দেশ্যে।
এ বছর হজ ব্যবস্থাপনায় এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। আগের মতো এয়ারপোর্টে নয়, হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হচ্ছে আশকোনা হজক্যাম্পেই। সেখান থেকেই তারা পাচ্ছেন বোর্ডিং পাস এবং সরাসরি ফ্লাইটে উঠছেন। ফলে দীর্ঘসূত্রতা ও হয়রানি থেকে রেহাই মিলছে।
হজযাত্রীদের লাগেজ জটিলতা এড়াতে এ বছর প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে ‘কালার ট্যাগ’ ব্যবস্থা। এই ট্যাগের মাধ্যমে হজযাত্রীর লাগেজ নির্ধারিত হোটেল পর্যন্ত সহজেই পৌঁছানো সম্ভব হবে। পুরো ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হজযাত্রীরা। তারা জানিয়েছেন, কাবা শরীফে গিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে প্রার্থনা করবেন।
সুবিধা বাড়াতে এ বছর হাজিদের জন্য চালু করা হয়েছে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে যোগাযোগ, অবস্থান, তথ্যসেবা ও জরুরি সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে এখনো প্রায় ১৭ হাজার হজযাত্রীর ভিসা হয়নি, যা নিয়েও কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের মাঝে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় আশকোনা হজক্যাম্পে হজ ফ্লাইট ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌদির আইন মেনে চলার আহ্বান জানান।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজ পালন করবেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন যাচ্ছেন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ৮১ হাজার ৯০০ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
তিনটি এয়ারলাইন্স—বাংলাদেশ বিমান, সাউদিয়া ও ফ্লাইনাস—মোট ২৩২টি প্রাক-হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
- বাংলাদেশ বিমান: ১১৮টি ফ্লাইটে ৪৪,৩০৭ জন
- সাউদিয়া: ৮০টি ফ্লাইটে ৩২,৭৪০ জন
- ফ্লাইনাস: ৩৪টি ফ্লাইটে ১৩,০৫৩ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে।
প্রাক-হজ ফ্লাইট শেষ হবে ৩১ মে, এবং হজ পালনের পর ১০ জুন থেকে শুরু হবে ফিরতি ফ্লাইট। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে এ বছর হজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ জুন।