প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে অবহেলা করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অদক্ষ হয়ে উঠবে, যারা সমাজের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। রবিবার (৫ মে) সকালে লক্ষ্মীপুরে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে যে জায়গায় আপনারা ভূমিকা রাখতে পারেন, সেটা এখনই শুরু করুন। কারণ, এ খাতের উন্নতি ছাড়া আমাদের ভবিষ্যৎ কখনোই উজ্জ্বল হবে না।”
বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় শিক্ষার্থীদের শেখার সক্ষমতার দিকেই বেশি নজর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। “শুধু উপস্থিতির খাতা নয়, বাচ্চারা কী শিখছে তা দেখতে হবে। যদি কোনো স্কুলের ফল খারাপ হয়, তবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে কারণ দর্শাতে হবে। উন্নতি না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. বিধান রঞ্জন বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষার জন্য নির্দিষ্ট কারিকুলাম রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান—সবাইকে সেটি অনুসরণ করতে হবে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন এবং তদারকির জন্য আমাদের কাছে নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে, সেই অনুযায়ী কাজ চলছে। তবে আমাদের সাংগঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করা দরকার।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সম্রাট খীসা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা, রায়পুর ইউএনও ইমরান খান, ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
সভা শেষে উপদেষ্টা কাকলী শিশু অঙ্গন পরিদর্শন করেন এবং সেখানে একটি ‘শিশু কানন’ উদ্বোধন করেন।
প্রাথমিক শিক্ষায় আরও জোরালো নজরদারি ও প্রশাসনিক উদ্যোগই পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে—এমনই বার্তা মিলেছে এই মতবিনিময় সভা থেকে।