বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বর্তমানে আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে একইসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে ব্যক্তি চরিত্রহননের ঝুঁকিও বেড়েছে। তিনি বলেন, “কোনও সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে উড়িয়ে দেওয়া, গুঁড়িয়ে দেওয়া, কিংবা ‘মব জাস্টিস’ চালানো কখনোই গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড হতে পারে না।”
রোববার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদের এক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে, সবাই যাতে নিজের মত প্রকাশ করতে পারে, ভোট দিতে পারে, বিশ্বাস ও মতাদর্শে স্বাধীন থাকতে পারে—এবং সেই স্বাধীনতাকে অন্যরাও সম্মান করে।”
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু সংবাদমাধ্যম ও গোষ্ঠী অন্যদের আক্রমণ করছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে পড়ছে। “এটা গণতান্ত্রিক পরিবেশের পরিপন্থী,” বলেন তিনি।
আলোচনায় বিএনপির ইতিহাস তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “১৯৭৫ সালের পরে বিএনপির হাত ধরেই দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা পায়। বাকশালের মাধ্যমে সংবাদপত্রের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল। আমরা বলি না বিএনপি নিখুঁত, তবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা বিএনপিই রেখেছে।”
তিনি আরও বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক সংস্কার শুরু করেছিল এবং সেই সংস্কার প্রক্রিয়াকে অযথা প্রশ্নবিদ্ধ করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বক্তব্যের শেষদিকে তিনি সকল পক্ষকে সহনশীলতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে রক্ষা করার আহ্বান জানান।