চলতি বছরে কোরবানির ঈদে গবাদিপশু আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, “দেশেই যথেষ্ট পশু প্রস্তুত রয়েছে। অবৈধভাবে যেন কোনো পশু দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
রোববার (৪ মে) সচিবালয়ে কোরবানির পশুর চাহিদা ও হাট ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন উপদেষ্টা।
তিনি জানান, এবার সারাদেশে কোরবানির জন্য ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে দেশীয় গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া। এসব পশু দিয়েই দেশের কোরবানির প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ফরিদা আখতার আরও জানান, মিয়ানমার ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে চোরাই পথে পশু আসার কিছু তথ্য সরকারের হাতে এসেছে। এই ধরনের অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ছিনতাই বা হস্তক্ষেপের মতো ঘটনা যেন না ঘটে, সে জন্য পুলিশের প্রতি কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বাসের লকআপে ছাগলসহ কোনো পশু পরিবহন করা যাবে না। এটি আইনের লঙ্ঘন এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বছর কোরবানির পশু ব্যবস্থাপনায় সরকার সচেষ্ট এবং খামারিদের উৎপাদন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।