ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৭ মে) প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ এই ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং হাসপাতালসহ জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ বলেন, “জনগণ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাশে রয়েছে। ভারত হয়তো এই আগ্রাসনের সূচনা করেছে, তবে শেষটা আমরাই করব।”
তিনি আরও জানান, পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে সেটি হতে হবে সম্মানের ভিত্তিতে। “যদি আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে গোটা জাতি একতাবদ্ধ হয়ে শক্ত প্রতিরোধ গড়বে,” বলেন মরিয়ম।
পাঞ্জাব সরকার ইতোমধ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সব ছুটি বাতিল করেছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরতে বলা হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। বিবিসির খবরে বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, ভারতের ছয়টি অঞ্চলে ২৪টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পাঞ্জাবের আহমেদপুর শারকিয়া, মুরিদকে, শিয়ালকোট, শকরগড় এবং পাকিস্তানশাসিত কাশ্মিরের কোটলি ও মুজাফফরাবাদ।
ভারত সরকার অবশ্য দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানের নয়টি স্থানে হামলা চালিয়েছে, তবে কোনও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়নি।
এই হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৮ জন নিহত এবং আরও ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। জবাবে রাতেই পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ভারতের পাঁচটি আকাশযান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি হেরন ড্রোন।